ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
৪২ বসন্তে বাঁধন

আমি নিজেকে গভীরভাবে ভালোবাসি

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক: দেখতে দেখতে জীবনের ৪১ বসন্ত পেরিয়ে পা রাখলেন ৪২-এ। নিজের জন্মদিনে নতুন এক রূপে হেমন্তের নরম আলো আর ধোঁয়ার মৃদু খেলায় ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিগুলো শেয়ার করেন তিনি। ছবির প্রতিটা ফ্রেমের মুহূর্তে ফুটে উঠেছে তার নিঃশব্দ আবেদন, যা দেখাতে কখনো তিনি ক্যামেরার সামনে শব্দের অবলম্বন করেন না।

ছবিগুলো পোস্ট করে বাঁধন লিখেছেন, ‘আজ আমার ৪২তম জন্মদিন। কী দারুণই না ছিল এই যাত্রা! ৪০ পার করার পর জীবন যেন একেবারে বদলে গেল। একটা বেদনাদায়ক সম্পর্কের বিচ্ছেদ, আর দেশের জুলাই আন্দোলনের পরের অস্থিরতা— এই দুই ঘটনাই আমাকে গভীর বিষণ্নতায় ডুবিয়ে দিয়েছিল। হ্যাঁ, সেটা ছিল আমার অসুস্থতা, কিন্তু এই দুইটা ঘটনা সেটাকে ভয়ংকরভাবে বাড়িয়ে দিল।’

সেই সময়ে মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গে নিজের শারীরিক পরিবর্তন হয়েছিল জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘ওই সময় ১৭ কেজি ওজন বেড়ে গেল, আর ভাবলাম—এটাই বোধহয় শেষ, জীবন এখানেই থেমে গেল। নিজের শরীরের ভেতরেই আমি বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। শরীর ব্যথা করত, হাঁটুতে যন্ত্রণা, পিঠে টান, আর মনে ঘন কুয়াশার মতো একটানা দুঃখের মেঘ। অনেক দিন শুধু ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা।’

সেই দিনগুলো অন্ধকারের ছিল, উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘কিন্তু না, পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি।

আমি বেঁচে গেছি। আমি সবসময়ই বেঁচে যাই। তারপর একদিন একটা ফোন এলো—একজন পরিচালকের কাছ থেকে, যার সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন আমি অনেকদিন ধরে দেখতাম। সেই ফোন কলটাই বদলে দিল সবকিছু। আবার জেগে উঠল আমার ভেতরের আগুন, উদ্যম, বাঁচার ইচ্ছা।’

এই সময়টাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় বলছেন বাঁধন। তিনি এরপর লেখেন, ‘এখন আমি প্রতিদিন ব্যায়াম করি। আবার নিজেকে জীবিত মনে হয়। আর সত্যি বলছি—জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় এখনই কাটাচ্ছি। কারণ আমরা মানুষ, সুপারহিরো নই। আমরা ভাঙি, হোঁচট খাই, কষ্ট পাই, হারাই, আবার জোড়া লাগি, উঠি আর বেঁচে থাকি। তাই আমার জন্য শুভকামনা রাখো—কারণ আমার চল্লিশের দশকটাই এখন পর্যন্ত জীবনের সবচেয়ে দারুণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।’

সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘আমি এখন আরো পরিণত, শান্ত, সংযত। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে গভীরভাবে ভালোবাসি।’

ওআ/আপ্র/২৮/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

৪২ বসন্তে বাঁধন

আমি নিজেকে গভীরভাবে ভালোবাসি

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: দেখতে দেখতে জীবনের ৪১ বসন্ত পেরিয়ে পা রাখলেন ৪২-এ। নিজের জন্মদিনে নতুন এক রূপে হেমন্তের নরম আলো আর ধোঁয়ার মৃদু খেলায় ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিগুলো শেয়ার করেন তিনি। ছবির প্রতিটা ফ্রেমের মুহূর্তে ফুটে উঠেছে তার নিঃশব্দ আবেদন, যা দেখাতে কখনো তিনি ক্যামেরার সামনে শব্দের অবলম্বন করেন না।

ছবিগুলো পোস্ট করে বাঁধন লিখেছেন, ‘আজ আমার ৪২তম জন্মদিন। কী দারুণই না ছিল এই যাত্রা! ৪০ পার করার পর জীবন যেন একেবারে বদলে গেল। একটা বেদনাদায়ক সম্পর্কের বিচ্ছেদ, আর দেশের জুলাই আন্দোলনের পরের অস্থিরতা— এই দুই ঘটনাই আমাকে গভীর বিষণ্নতায় ডুবিয়ে দিয়েছিল। হ্যাঁ, সেটা ছিল আমার অসুস্থতা, কিন্তু এই দুইটা ঘটনা সেটাকে ভয়ংকরভাবে বাড়িয়ে দিল।’

সেই সময়ে মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গে নিজের শারীরিক পরিবর্তন হয়েছিল জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘ওই সময় ১৭ কেজি ওজন বেড়ে গেল, আর ভাবলাম—এটাই বোধহয় শেষ, জীবন এখানেই থেমে গেল। নিজের শরীরের ভেতরেই আমি বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। শরীর ব্যথা করত, হাঁটুতে যন্ত্রণা, পিঠে টান, আর মনে ঘন কুয়াশার মতো একটানা দুঃখের মেঘ। অনেক দিন শুধু ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা।’

সেই দিনগুলো অন্ধকারের ছিল, উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘কিন্তু না, পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি।

আমি বেঁচে গেছি। আমি সবসময়ই বেঁচে যাই। তারপর একদিন একটা ফোন এলো—একজন পরিচালকের কাছ থেকে, যার সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন আমি অনেকদিন ধরে দেখতাম। সেই ফোন কলটাই বদলে দিল সবকিছু। আবার জেগে উঠল আমার ভেতরের আগুন, উদ্যম, বাঁচার ইচ্ছা।’

এই সময়টাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় বলছেন বাঁধন। তিনি এরপর লেখেন, ‘এখন আমি প্রতিদিন ব্যায়াম করি। আবার নিজেকে জীবিত মনে হয়। আর সত্যি বলছি—জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় এখনই কাটাচ্ছি। কারণ আমরা মানুষ, সুপারহিরো নই। আমরা ভাঙি, হোঁচট খাই, কষ্ট পাই, হারাই, আবার জোড়া লাগি, উঠি আর বেঁচে থাকি। তাই আমার জন্য শুভকামনা রাখো—কারণ আমার চল্লিশের দশকটাই এখন পর্যন্ত জীবনের সবচেয়ে দারুণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে।’

সবশেষে বাঁধন লেখেন, ‘আমি এখন আরো পরিণত, শান্ত, সংযত। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে গভীরভাবে ভালোবাসি।’

ওআ/আপ্র/২৮/১০/২০২৫