ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই চলছে নানা রকম আলোচনা। নির্বাচন শেষ হলেও এসব আলোচনা থামার নাম নেই। সমস্যা যেন আরও বাড়লোই বলা যায়। কেননা নতুন নির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অবৈধ ঘোষণা করে ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ৮৪টী ক্লাব।
এদিকে বিসিবি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা ছিল তামিম ইকবালেরও। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদে তামিমসহ মোট ১৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। পরে কাউন্সিলরশিপ ফিরে পায় ১৫টি ক্লাব।
এদিকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করা তামিম আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন ১৫টা ক্লাব থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনো বিকল্প ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া। এটাই ছিল আমার স্ট্যান্ড।’
একা নির্বাচন করলেও তিনি পাস করতেন জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে, বিপক্ষে কোন টিম আছে…তারপরও আমি সহজেই পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।’
এবারের বিসিবি নির্বাচনে ই-ভোটিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। তবে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আপনি ই–ভোটিং করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রে আছেন। তাহলে ই–ভোটিং করার দরকার কি?’
ওআ/আপ্র/০৮/১০/২০২৫


























