বিনোদন প্রতিবেদক: দয়া করে আমাকে মডেল অভিনেত্রী এগুলো বলবেন না; এগুলো একটু পড়তে আমার কাছে লজ্জা লাগে; কারণ আমার পরিচয় হচ্ছে- আমি একজন রাজনৈতিক প্রশিক্ষক।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দিতে এসে মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলম এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক প্রশিক্ষক এবং মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ এ ছিলাম। কিন্তু ২০২৪- ২৫ বিগত দুই বছর ধরে আমি মিস আর্থের ন্যাশনাল ডিরেক্টর। এখনও সামনে আমি ন্যাশনাল ডিরেক্টর হিসেবেই কাজ করব। তো আমার এই ইনফরমেশনগুলো আমরা দেখি আপনারা যখন সংবাদপত্রে লেখেন, বা ভিডিওতে দেখান, অনেক সময় আমাকে অন্য কোনো পরিচয় বা অন্য কোনো নামে দেয়া হয়, সেটা করবেন না । কাইন্ডলি মিডিয়ার কাছে আমি আরেকবার ক্লিয়ার করব- মেঘনা আলম রাজনৈতিক প্রশিক্ষক, মিস বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর। দয়া করে আমাকে মডেল, অভিনেত্রী এগুলো বলবেন না।
এগুলো একটু পড়তে আমার কাছে লজ্জা লাগে, কারণ আমি কখনোই কোনো জায়গায় অভিনয় করিনি ।
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম। মামলার শুনানিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মেঘনার জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের ফরেনসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। এ সময় আদালত প্রতিবেদনের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।
একই সঙ্গে, মেঘনা আলমের পক্ষে করা জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদনটি আদালত নামঞ্জুর করেন।
শুনানিতে মেঘনার আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহসিন রেজা পলাশ জানান, আন্তর্জাতিক লিডারশিপ ট্রেইনার হিসেবে পেশাগত কারণে তাকে প্রায়ই বিদেশে যেতে হয়। তাই তদন্তের প্রয়োজনে ডিভাইসগুলো জব্দ থাকলেও পাসপোর্ট ফেরত দিলে তার পেশাগত কার্যক্রম ব্যাহত হবে না।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, মামলার তদন্ত এখনো গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় পাসপোর্ট ফেরত দিলে মেঘনা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন, যা মামলার অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলবে।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত পাসপোর্ট ফেরতের আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এর আগে আদালত তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মেঘনা আলমের জব্দ করা মোবাইল, ম্যাকবুক ও ল্যাপটপে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তিকর বা রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে।
তবে নির্ধারিত দিনেও প্রতিবেদন না আসায়, আদালত অসন্তোষ প্রকাশ না করে ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ওআ/আপ্র/১১/১১/২০২৫

























