ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত-ঐক্য-শান্তি কামনা

  • আপডেট সময় : ০১:১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন। ২২ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাতে দুই হাত ওপরে তুলে লাখ লাখ মুসল্লি বারবার বলছিলেন, আমিন আমিন। মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন। রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রোববার দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হবে। সড়ক তিনটি হলো, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
আখেরি মোনাজাত শেষে মানুষের স্রোত: টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষে পায়ে হেঁটে ফিরতি পথ ধরে মানুষের স্রোত। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানী থেকে উত্তরামুখী সড়কগুলোর দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গত শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মানুষ তাতে অংশ নেয়। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার দুপুর থেকেই বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চে করে টঙ্গীর পথে মানুষের ঢল নামে। তাদের যাতায়াত সহজ করতে শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে ইজতেমাগামী যাত্রীদের যানবাহন ছাড়া সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করে দেয় গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। সারা রাত ধরেই ইজতেমা ময়দানের পথে মানুষের স্রোত চলে। অনেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ইজতেমা মাঠের কাছাকাছি পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৯টায় আখেরি মোনাজাত শেষে সবাই ফিরতি পথ ধরেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটেই তাদের রওনা হতে হয়। পুলিশের ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, “ঢাকামুখী রাস্তাগুলোতে স্রোতের মত মানুষ হাঁটছে। তাই আমরা এসব সড়কে যাত্রীবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। এর মধ্যেই কিছু ছোট যানবাহন ছাড়া হচ্ছে। বড় যানবাহন ছাড়তে আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে।”
একটি রেন্ট এ কার কোম্পানির গাড়িচালক মো. শাকিল বলেন, তার গাড়ি ব্যবহারকারী গুলশান ১ নাম্বারে যাবেন। কিন্তু তিনি গাড়ি নিয়ে জাহাঙ্গীর গেটে এসে আটকা পড়েন। পরে তার গাড়ি ব্যবহারকারী নেমে হাটা দিয়েছেন। তিনি গাড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। ফেইসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে পোস্ট দিয়ে রাস্তার যানজটে অনেকক্ষণ আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন অনেক মানুষ। বুশরা তাবাসসুম নামে একজন লিখেছেন, “আপনি ভাগ্যবান হলে কাকলী বনানী পর্যন্ত গাড়িতে আসতে পারবেন। আর না হলে জাহাঙ্গীর গেটই আপনার লাস্ট স্টপেজ।”
এ এস এম লিথুন লিখেছেন, “মেরুল বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক ইউনিভারসিটির সামনে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। গুলশান বনানী এলাকার জ্যাম ছড়িয়েছে হাতিরঝিলেও। হাতিরঝিলে অনেকক্ষণ ধরে আটকে থাকা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ মশিউর রহমান বলেন, “মোটরসাইকেল নিয়েও কোনো দিকেই যেতে পারছি না। ইজতেমার বিষয়টা মাথায় ছিল না, তাহলে এ সময় অন্যদিকে যেতাম।” ইজতেমার কারণে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর রোডের বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। সেগুলো মহাখালীতে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখায় ভোগান্তি বেড়েছে। ফেইসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে সুদীপ্ত টি অর্ণব লিখেছেন, “সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে মহাখালী রাস্তার উপর তিন সারিতে পার্ক করে রাখা হয়েছে বাসগুলো। কি একটা অবস্থা!” এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৌখিন পরিবহন বাসের মালিক (অংশীদার) শেখ নুরুদ্দিন বলেন, টঙ্গীতে ইজতেমার কারণে তারা গাড়ি ছাড়তে পারেননি। তবে তাদের কোম্পানির অনেক গাড়ি টঙ্গীতেই রয়েছে, যেগুলো ইজতেমায় আগতদের পরিবহনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত-ঐক্য-শান্তি কামনা

আপডেট সময় : ০১:১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন। ২২ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাতে দুই হাত ওপরে তুলে লাখ লাখ মুসল্লি বারবার বলছিলেন, আমিন আমিন। মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন। রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময় নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রোববার দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হবে। সড়ক তিনটি হলো, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
আখেরি মোনাজাত শেষে মানুষের স্রোত: টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষে পায়ে হেঁটে ফিরতি পথ ধরে মানুষের স্রোত। দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানী থেকে উত্তরামুখী সড়কগুলোর দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গত শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মানুষ তাতে অংশ নেয়। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার দুপুর থেকেই বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চে করে টঙ্গীর পথে মানুষের ঢল নামে। তাদের যাতায়াত সহজ করতে শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে ইজতেমাগামী যাত্রীদের যানবাহন ছাড়া সাধারণ যান চলাচল বন্ধ করে দেয় গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। সারা রাত ধরেই ইজতেমা ময়দানের পথে মানুষের স্রোত চলে। অনেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ইজতেমা মাঠের কাছাকাছি পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৯টায় আখেরি মোনাজাত শেষে সবাই ফিরতি পথ ধরেন। রাস্তা বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটেই তাদের রওনা হতে হয়। পুলিশের ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, “ঢাকামুখী রাস্তাগুলোতে স্রোতের মত মানুষ হাঁটছে। তাই আমরা এসব সড়কে যাত্রীবাহী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি। এর মধ্যেই কিছু ছোট যানবাহন ছাড়া হচ্ছে। বড় যানবাহন ছাড়তে আরো কিছুক্ষণ সময় লাগবে।”
একটি রেন্ট এ কার কোম্পানির গাড়িচালক মো. শাকিল বলেন, তার গাড়ি ব্যবহারকারী গুলশান ১ নাম্বারে যাবেন। কিন্তু তিনি গাড়ি নিয়ে জাহাঙ্গীর গেটে এসে আটকা পড়েন। পরে তার গাড়ি ব্যবহারকারী নেমে হাটা দিয়েছেন। তিনি গাড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। ফেইসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে পোস্ট দিয়ে রাস্তার যানজটে অনেকক্ষণ আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন অনেক মানুষ। বুশরা তাবাসসুম নামে একজন লিখেছেন, “আপনি ভাগ্যবান হলে কাকলী বনানী পর্যন্ত গাড়িতে আসতে পারবেন। আর না হলে জাহাঙ্গীর গেটই আপনার লাস্ট স্টপেজ।”
এ এস এম লিথুন লিখেছেন, “মেরুল বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক ইউনিভারসিটির সামনে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। গুলশান বনানী এলাকার জ্যাম ছড়িয়েছে হাতিরঝিলেও। হাতিরঝিলে অনেকক্ষণ ধরে আটকে থাকা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ মশিউর রহমান বলেন, “মোটরসাইকেল নিয়েও কোনো দিকেই যেতে পারছি না। ইজতেমার বিষয়টা মাথায় ছিল না, তাহলে এ সময় অন্যদিকে যেতাম।” ইজতেমার কারণে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর রোডের বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। সেগুলো মহাখালীতে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখায় ভোগান্তি বেড়েছে। ফেইসবুকের ট্রাফিক অ্যালার্ট গ্রুপে সুদীপ্ত টি অর্ণব লিখেছেন, “সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে মহাখালী রাস্তার উপর তিন সারিতে পার্ক করে রাখা হয়েছে বাসগুলো। কি একটা অবস্থা!” এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৌখিন পরিবহন বাসের মালিক (অংশীদার) শেখ নুরুদ্দিন বলেন, টঙ্গীতে ইজতেমার কারণে তারা গাড়ি ছাড়তে পারেননি। তবে তাদের কোম্পানির অনেক গাড়ি টঙ্গীতেই রয়েছে, যেগুলো ইজতেমায় আগতদের পরিবহনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে।