ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আমার মতো ভুল কেউ করবেন না : পরীমণি

  • আপডেট সময় : ০৭:০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: দুই সন্তানকে নিয়েই ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির সংসার। তাদের সেই সংসারে রয়েছে একটি পোষ্য, নাম পুটু। প্রায় ১০ বছর ধরে নায়িকার বাড়িতে বেড়ে উঠেছে এই প্রাণীটি। সবসময় পরীর আশেপাশে থাকলেও ছেলে পূণ্যের জন্মের পর থেকেই পুটুর সঙ্গে একটি দুরত্ব তৈরি করেন এই অভিনেত্রী। যেটারই প্রভাব পড়েছে তার বর্তমান জীবনে। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন পরীমণি। একইসঙ্গে ভক্তদেরও সতর্ক করেছেন, নিজের ঘটনা তুলে ধরে। পরী তার স্ট্যাটাসের শুরুতে লিখেছেন, একটা ভুল করেছি। আমার এই পেট’র নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু ১০ বছর ধরে আমার সাথে আছে! ছেলে হওয়ার আগে ও সবসময় আমার সাথে ঘেঁষে থাকতো। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাতো। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সাথে নিয়ে ঘুমাই না। তখন থেকে ওর আলাদা বিছানা হয়ে গেলো। পুটুকে দূরে ঠেলে দিয়ে কষ্ট হচ্ছিল উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, প্রথমদিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিলো। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেলো। তারপর যখন আমর ছেলে হাঁটা শুরু করলো তখন ফ্লোরে ছেলের সাথে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইতো। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, পুটু যদি কামড় দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পেয়ে যায়। সেই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম।
এরপর নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি হলো। সেটা উল্লেখ করে পরী জানান, ইদানিং হটাৎ আমি খেয়াল করলাম ছেলেও পুটুর সাথে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে “এই পুটু যাও যাও”। আমি বুঝতে পারলাম এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে তাই তো শিখবে! এরপর আমি লেগে পড়লাম ওদের সুন্দর একটা বন্ধুত্ব তৈরি করার জন্য। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসাথে ছেলেকে নিয়ে খেলা….আস্তে আস্তে ছেলে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করল পুটুর সাথে। আমারও ভালো লাগলো। এরপরও নতুন বিপত্তি বাঁধলো! পরীর কথায়, ‘কিন্তু আরো একটা বড় ভুল হয়ে গেল! যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিলো। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন পুটুর সাথে থাকতে চায়, পুটুর সাথেই খেলতে চায়, তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি…হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে।’ নিজের ভুল যেন আর কেউ না করেন, সেটা উল্লেখ করে পরী বলেন- আমার মতো এই ভুল কেউ করবেন না আশাকরি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার!

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমার মতো ভুল কেউ করবেন না : পরীমণি

আপডেট সময় : ০৭:০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: দুই সন্তানকে নিয়েই ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির সংসার। তাদের সেই সংসারে রয়েছে একটি পোষ্য, নাম পুটু। প্রায় ১০ বছর ধরে নায়িকার বাড়িতে বেড়ে উঠেছে এই প্রাণীটি। সবসময় পরীর আশেপাশে থাকলেও ছেলে পূণ্যের জন্মের পর থেকেই পুটুর সঙ্গে একটি দুরত্ব তৈরি করেন এই অভিনেত্রী। যেটারই প্রভাব পড়েছে তার বর্তমান জীবনে। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন পরীমণি। একইসঙ্গে ভক্তদেরও সতর্ক করেছেন, নিজের ঘটনা তুলে ধরে। পরী তার স্ট্যাটাসের শুরুতে লিখেছেন, একটা ভুল করেছি। আমার এই পেট’র নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু ১০ বছর ধরে আমার সাথে আছে! ছেলে হওয়ার আগে ও সবসময় আমার সাথে ঘেঁষে থাকতো। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাতো। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সাথে নিয়ে ঘুমাই না। তখন থেকে ওর আলাদা বিছানা হয়ে গেলো। পুটুকে দূরে ঠেলে দিয়ে কষ্ট হচ্ছিল উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, প্রথমদিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিলো। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেলো। তারপর যখন আমর ছেলে হাঁটা শুরু করলো তখন ফ্লোরে ছেলের সাথে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইতো। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, পুটু যদি কামড় দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পেয়ে যায়। সেই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম।
এরপর নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি হলো। সেটা উল্লেখ করে পরী জানান, ইদানিং হটাৎ আমি খেয়াল করলাম ছেলেও পুটুর সাথে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে “এই পুটু যাও যাও”। আমি বুঝতে পারলাম এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে তাই তো শিখবে! এরপর আমি লেগে পড়লাম ওদের সুন্দর একটা বন্ধুত্ব তৈরি করার জন্য। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসাথে ছেলেকে নিয়ে খেলা….আস্তে আস্তে ছেলে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করল পুটুর সাথে। আমারও ভালো লাগলো। এরপরও নতুন বিপত্তি বাঁধলো! পরীর কথায়, ‘কিন্তু আরো একটা বড় ভুল হয়ে গেল! যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিলো। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন পুটুর সাথে থাকতে চায়, পুটুর সাথেই খেলতে চায়, তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি…হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে।’ নিজের ভুল যেন আর কেউ না করেন, সেটা উল্লেখ করে পরী বলেন- আমার মতো এই ভুল কেউ করবেন না আশাকরি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার!