ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

আমার চ্যালেঞ্জ নেয়া সার্থক হয়েছে: তানজিন তিশা

  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

আমার চ্যালেঞ্জ নেয়া সার্থক হয়েছে: তানজিন তিশা

বিনোদন ডেস্ক: মডেলিংয়ের পর নাটক দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তানজিন তিশা। গেল কয়েক বছর ধরে পর্দায় সমানতালে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। নাটকে নিয়মিত থাকা তিশার ওটিটিতে উপস্থিতি একপ্রকার ছিল না বললেই চলে! তবে এ নিয়ে এই অভিনেত্রীর কোনো আক্ষেপ ছিল না; বরং তিনি চাইছেন সময় নিয়েই হলেও যখনই ফিল্ডে নামবেন ছক্কা হাঁকাবেন! অনেকটা তাই করলেন তিশা। ২০ ফেব্রুয়ারি চরকিতে জাহিদ প্রীতমের পরিচালনায় ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্মে হাসপাতালের বেডে কোমায় থাকা জ্যোতি চরিত্র দিয়ে নতুন করে নজর কাড়লেন তিনি। এতে তার আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রীতম হাসান ও পারশা। ‘ঘুমপরী’ মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন তানজিন তিশা।

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘ঘুমপরী’র গল্পটা দর্শক দারুণভাবে আপন করে নিয়েছে। যখন শুটিং করছিলাম মনে হচ্ছিল দর্শক গ্রহণ করবে। কিন্তু ভাবছিলাম আমার চরিত্রটি দর্শক কিভাবে গ্রহণ করবে! রিলিজের ২ সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও মানুষের রেসপন্স পাচ্ছি। এই অনুভূতি অদ্ভুত ভালো লাগার। সবাই যেভাবে ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছে ‘ঘুমপরী’ আমার ক্যারিয়ারে স্পেশাল হয়ে থাকবে।
তানজিন তিশা বলেন, শত শত দর্শকদের মন্তব্য আমাকে নাড়া দিয়েছে। বেশীরভাগই বলেছে, শেষের দিকে গল্পের ঘোর থেকে বের হতে পারছে না।

মনে হচ্ছে, আমার চ্যালেঞ্জ নেয়া সার্থক হয়েছে। একজন সিনিয়র অভিনেতা (নাম প্রকাশ করতে চান না) আমাকে ফোন করে অ্যাপ্রিসিয়েট করেছেন। বলেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে বসে কাজটি দেখে ইমোশনাল হয়েছেন। তিনি সহজে ইমোশনাল হন না। যখনই আমাকে স্ক্রিনে দেখেছেন তার চোখের কোনা ভিজে গেছে, যখন আমি স্ক্রিনে ছিলাম না তিনি আমাকে খুঁজেছেন। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। যারা ‘ঘুমপরী’ দেখছেন প্রীতমের মেঘ চরিত্রের পাশাপাশি জ্যোতি চরিত্রের প্রশংসা করতে ভুলছেন না। এই চরিত্রটি হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটা কী ছিলো জানতে চাইলে তিশা বলেন, ঘুমপরীকে নিয়েই এ গল্প। আর সেটা হচ্ছে আমি। যারা ‘ঘুমপরী’ দেখেছে তারাও এতে একমত।

কিন্তু স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স একটু কম। যখন স্ক্রিনে আমি মিসিং থাকবো না, তখন মানুষ যেন ঘুমপরীকে খোঁজে এটাই ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। বেডে শুয়ে থাকাকালীন সংলাপ না দিয়ে আমার তাকিয়ে থেকে অ্যাক্টিং করাটা ছিল অনেক চ্যাঞ্জেলের। অন্যদিকে, চঞ্চল মেয়ের ক্যারেক্টারে দর্শকরা অন্য লুকেও দেখেছে। এটাও ছিল চ্যালেঞ্জের। সবমিলিয়ে জ্যোতি হয়ে ওঠা এবং পুরো কাজটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেদিক থেকে দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ সার্থক।

তিশার মতে, দর্শকদের রেসপন্সে তিনি এখনো ‘ঘুমপরী’-তে বসবাস করছেন। তাই আপাতত নতুন কাজের আপডেট দিলেন না। বললেন, ঈদ তো কিছুদিন পরেই, সময় অনেক কম। দর্শকদের ঈদে কি দিতে পারবো বলতে পারছি না। প্ল্যানিংয়ের অনেক ব্যাপার আছে। তবে আমি চাই, মানুষ ঘুমপরীকে আপন করে নিয়েছেন, কিছুদিন এটা নিয়ে থাকুক।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমার চ্যালেঞ্জ নেয়া সার্থক হয়েছে: তানজিন তিশা

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: মডেলিংয়ের পর নাটক দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তানজিন তিশা। গেল কয়েক বছর ধরে পর্দায় সমানতালে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। নাটকে নিয়মিত থাকা তিশার ওটিটিতে উপস্থিতি একপ্রকার ছিল না বললেই চলে! তবে এ নিয়ে এই অভিনেত্রীর কোনো আক্ষেপ ছিল না; বরং তিনি চাইছেন সময় নিয়েই হলেও যখনই ফিল্ডে নামবেন ছক্কা হাঁকাবেন! অনেকটা তাই করলেন তিশা। ২০ ফেব্রুয়ারি চরকিতে জাহিদ প্রীতমের পরিচালনায় ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্মে হাসপাতালের বেডে কোমায় থাকা জ্যোতি চরিত্র দিয়ে নতুন করে নজর কাড়লেন তিনি। এতে তার আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রীতম হাসান ও পারশা। ‘ঘুমপরী’ মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন তানজিন তিশা।

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘ঘুমপরী’র গল্পটা দর্শক দারুণভাবে আপন করে নিয়েছে। যখন শুটিং করছিলাম মনে হচ্ছিল দর্শক গ্রহণ করবে। কিন্তু ভাবছিলাম আমার চরিত্রটি দর্শক কিভাবে গ্রহণ করবে! রিলিজের ২ সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও মানুষের রেসপন্স পাচ্ছি। এই অনুভূতি অদ্ভুত ভালো লাগার। সবাই যেভাবে ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছে ‘ঘুমপরী’ আমার ক্যারিয়ারে স্পেশাল হয়ে থাকবে।
তানজিন তিশা বলেন, শত শত দর্শকদের মন্তব্য আমাকে নাড়া দিয়েছে। বেশীরভাগই বলেছে, শেষের দিকে গল্পের ঘোর থেকে বের হতে পারছে না।

মনে হচ্ছে, আমার চ্যালেঞ্জ নেয়া সার্থক হয়েছে। একজন সিনিয়র অভিনেতা (নাম প্রকাশ করতে চান না) আমাকে ফোন করে অ্যাপ্রিসিয়েট করেছেন। বলেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে বসে কাজটি দেখে ইমোশনাল হয়েছেন। তিনি সহজে ইমোশনাল হন না। যখনই আমাকে স্ক্রিনে দেখেছেন তার চোখের কোনা ভিজে গেছে, যখন আমি স্ক্রিনে ছিলাম না তিনি আমাকে খুঁজেছেন। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। যারা ‘ঘুমপরী’ দেখছেন প্রীতমের মেঘ চরিত্রের পাশাপাশি জ্যোতি চরিত্রের প্রশংসা করতে ভুলছেন না। এই চরিত্রটি হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটা কী ছিলো জানতে চাইলে তিশা বলেন, ঘুমপরীকে নিয়েই এ গল্প। আর সেটা হচ্ছে আমি। যারা ‘ঘুমপরী’ দেখেছে তারাও এতে একমত।

কিন্তু স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স একটু কম। যখন স্ক্রিনে আমি মিসিং থাকবো না, তখন মানুষ যেন ঘুমপরীকে খোঁজে এটাই ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। বেডে শুয়ে থাকাকালীন সংলাপ না দিয়ে আমার তাকিয়ে থেকে অ্যাক্টিং করাটা ছিল অনেক চ্যাঞ্জেলের। অন্যদিকে, চঞ্চল মেয়ের ক্যারেক্টারে দর্শকরা অন্য লুকেও দেখেছে। এটাও ছিল চ্যালেঞ্জের। সবমিলিয়ে জ্যোতি হয়ে ওঠা এবং পুরো কাজটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেদিক থেকে দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ সার্থক।

তিশার মতে, দর্শকদের রেসপন্সে তিনি এখনো ‘ঘুমপরী’-তে বসবাস করছেন। তাই আপাতত নতুন কাজের আপডেট দিলেন না। বললেন, ঈদ তো কিছুদিন পরেই, সময় অনেক কম। দর্শকদের ঈদে কি দিতে পারবো বলতে পারছি না। প্ল্যানিংয়ের অনেক ব্যাপার আছে। তবে আমি চাই, মানুষ ঘুমপরীকে আপন করে নিয়েছেন, কিছুদিন এটা নিয়ে থাকুক।