বিশেষ প্রতিনিধি: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘আমার গান’-এর আয়োজনে ‘পরম্পরায় বাংলা গানের আসর’ নামে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন ও সারেঙ্গি বাজিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এই সময়ের আলোচিত দুই শিশু শিল্পী মোল্লা ষড়জ রহমান ও মোল্লা ঋষভ রহমান, ছায়ানটের তরুণ শিক্ষক সমুদ্র শুভম এবং সৌনক দেবনাথ ঋক। গুরু-শিষ্য পরম্পরায় সাথে ছিলেন তাদের বাবা ও মায়েরা।
গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকার ধানমন্ডি ক্লাবে বসেছিল বৈঠকী গানের এই নান্দনিক আসর। বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী বনা হালদারের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন সাংবাদিক এস কে সানা ও শিল্পী অরুন চৌধুরী।
গুরুশিষ্য পরম্পরার অভিনব এই আসরে সঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন দুইজন মা ও তাদের দুই ছেলে। একজন বাবা ও তার দুই ছেলে। শিল্পী বনা রানী হালদার ও তার ছেলে ছায়ানটের সঙ্গীত শিক্ষক সমুদ্র শুভম, জনপ্রিয় শিল্পী পরিবার সাভারের সঙ্গীত ওস্তাদ মোল্লা মাসুদ রহমান এবং তার দুই ছেলে মোল্লা ষড়জ রহমান ও মোল্লা ঋষভ রহমান এবং এসরাজ বাজিয়ে তাক লাগিয়েছেন বিশিষ্ট যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী শুক্লা রানী হালদার আর সারেঙ্গী বাজিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তার ছেলে সৌনক দেবনাথ ঋক।
মা বনা, ছেলে শুভম: বনা হালদার আর তার ছেলে সমুদ্র শুভমের পরিবেশনা বরাবরই খুব পরিপক্ব, যা এই অনুষ্ঠানেও দারুণ মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। বিশেষত সমুদ্র শুভমের পরিবেশনা ছিল অনবদ্য। বনা হালদারের গাওয়া সোনালি যুগের বাংলা গানে মুখ মিলিয়েছেন উপস্থিত শ্রোতারাও।
বাবা মোল্লা মাসুদ ও দুই পুত্র ষড়জ ঋষভ: ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেয়ে সাড়া জাগিয়েছে সাভারের মোল্লা পরিবার। ষড়জের গান আর তার ছোট ভাই ঋষভের তবলা বাদন এক মোহনীয় সুরের ইন্দ্রজাল সৃষ্টি করেছিল পুরো অনুষ্ঠানস্থলে। নিস্তব্ধ অডিটোরিয়ামে নিবিষ্টচিত্তে অপার মুগ্ধতায় যেন সঙ্গীতের সুধা পান করেছেন শ্রোতামণ্ডলী। বাবা মাসুদ রহমান সুকণ্ঠে পরিবেশন করেন সোনালি যুগের দুইটি গান।

মা শুক্লা রানী আর ছেলে সৌনক দেবনাথ ঋক: খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় কোক স্টুডিওতে সারেঙ্গী বাজিয়ে সাড়া জাগানো বাদক সৌনক দেবনাথ ঋক ও তার মা শুক্লা রানী হালদারের এসরাজ বাদন ছিল অনুষ্ঠানের নান্দনিকতার দৃষ্টান্ত। সবশেষে এই মা-ছেলে জুটির অনিন্দ্য সুন্দর পরিবেশনায় অনুভূত হয়েছে- সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।
অনুষ্ঠানটির চমৎকার সঞ্চালনা করেছেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও শিক্ষক অনন্যা সাহা।
সানা/আপ্র/২৬/১০/২০২৫

























