ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমাদের সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ: এআই গডফাদার

  • আপডেট সময় : ১১:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চাকরি হারানোর ঝুঁকি মোকাবেলায় এর বিপরীতে সরকারের একটি সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ –এমনই দাবি ‘এআই গডফাদার’ খ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিনটনের।
বিবিসি নিউজনাইট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিনটন বলেন, সকল নাগরিককে নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ দেওয়ার একটি ব্যবস্থা থাকা উচিৎ কারণ ‘এআই বাস্তব জগতের অনেক চাকরিই কেড়ে নিতে পারে’, এমন সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
“লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিট এলাকার অনেকেই আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি তাদের পরামর্শ দিই, এর জন্য ভালো একটি উপায় হতে পারে সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা।” তিনি আরও বলেন, তার বিশ্বাস, এআই উৎপাদনশীলতা ও সম্পদ বাড়িয়ে দেবে, তবে সে অর্থ শুধু ধনীদের কাছে যাবে, ‘এআইয়ের কারণে চাকরি হারিয়ে ফেলে লোকজনের কাছে নয়’। আর তা সমাজে ‘খুবই বাজে প্রভাব’ ফেলবে। অধ্যাপক হিনটন নিউরাল নেটওয়ার্কের পথিকৃৎ হিসেবে সুপরিচিত, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সাম্প্রতিক উন্মাদনার তাত্ত্বিক ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত। গত বছরের আগ পর্যন্ত তিনি গুগলে কাজ করতেন। তবে, অনিয়ন্ত্রিত এআই ব্যবস্থার সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে সার্চ জায়ান্ট কোম্পানিটি ছেড়ে দেন তিনি। সর্বজনীন আয় ব্যবস্থার এ ধারণায়, সরকারকে দেশের সকল নাগরিককে একটি বাধ্যতামূলক আর্থিক ভাতা দিতে হবে, তাদের উপার্জন থাকুক বা না থাকুক। তবে সমালোচকরা বলছেন, এমন প্রকল্প খুবই খরচসাপেক্ষ হতে পারে। আর এতে করে বিভিন্ন জনসেবার ফান্ডিংও কমে আসতে পারে। ফলে, দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে না। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, আপাতত এমন সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে অধ্যাপক হিনটন বলেছেন, তিনি চান জেনেভা কনভেনশনের মতো কিছু একটা হোক, যা যুদ্ধে মানবিক সহযোগিতার আইনি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আর এতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১৯৬টি দেশ। একইভাবে সামরিক খাতে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। “তবে, কয়েকটি খুবই বাজে ঘটনার পর এমনটা বাস্তবে দেখা যাবে বলে আমার মনে হয় না।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমাদের সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ: এআই গডফাদার

আপডেট সময় : ১১:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চাকরি হারানোর ঝুঁকি মোকাবেলায় এর বিপরীতে সরকারের একটি সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ –এমনই দাবি ‘এআই গডফাদার’ খ্যাত কম্পিউটার বিজ্ঞানী জিওফ্রে হিনটনের।
বিবিসি নিউজনাইট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিনটন বলেন, সকল নাগরিককে নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ দেওয়ার একটি ব্যবস্থা থাকা উচিৎ কারণ ‘এআই বাস্তব জগতের অনেক চাকরিই কেড়ে নিতে পারে’, এমন সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
“লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিট এলাকার অনেকেই আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি তাদের পরামর্শ দিই, এর জন্য ভালো একটি উপায় হতে পারে সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা রাখা।” তিনি আরও বলেন, তার বিশ্বাস, এআই উৎপাদনশীলতা ও সম্পদ বাড়িয়ে দেবে, তবে সে অর্থ শুধু ধনীদের কাছে যাবে, ‘এআইয়ের কারণে চাকরি হারিয়ে ফেলে লোকজনের কাছে নয়’। আর তা সমাজে ‘খুবই বাজে প্রভাব’ ফেলবে। অধ্যাপক হিনটন নিউরাল নেটওয়ার্কের পথিকৃৎ হিসেবে সুপরিচিত, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সাম্প্রতিক উন্মাদনার তাত্ত্বিক ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত। গত বছরের আগ পর্যন্ত তিনি গুগলে কাজ করতেন। তবে, অনিয়ন্ত্রিত এআই ব্যবস্থার সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে সার্চ জায়ান্ট কোম্পানিটি ছেড়ে দেন তিনি। সর্বজনীন আয় ব্যবস্থার এ ধারণায়, সরকারকে দেশের সকল নাগরিককে একটি বাধ্যতামূলক আর্থিক ভাতা দিতে হবে, তাদের উপার্জন থাকুক বা না থাকুক। তবে সমালোচকরা বলছেন, এমন প্রকল্প খুবই খরচসাপেক্ষ হতে পারে। আর এতে করে বিভিন্ন জনসেবার ফান্ডিংও কমে আসতে পারে। ফলে, দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে না। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, আপাতত এমন সর্বজনীন আয়ের ব্যবস্থা চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে অধ্যাপক হিনটন বলেছেন, তিনি চান জেনেভা কনভেনশনের মতো কিছু একটা হোক, যা যুদ্ধে মানবিক সহযোগিতার আইনি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। আর এতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১৯৬টি দেশ। একইভাবে সামরিক খাতে এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। “তবে, কয়েকটি খুবই বাজে ঘটনার পর এমনটা বাস্তবে দেখা যাবে বলে আমার মনে হয় না।”