ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ভোটের অধিকার নয়। মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং অন্যের অধিকার সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। এসময় কাউন্সিলের আগত সবাই তার এ বক্তব্য করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। কাউন্সিলে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে শুরু করলে মির্জা ফখরুল তাদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘স্লোগান দেবেন না, স্লোগানের রাজনীতি বাদ দিতে হবে, প্লিজ স্লোগানের রাজনীতি বাদ দিতে হবে।’

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, আমাদের নেতা, ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি, ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী আজকে এখানে (ভার্চুয়ালি যুক্ত) বসে আছেন, আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, এই বিষয়টাকে (স্বাস্থ্যখাত) অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা, ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তার দৃষ্টিতে এটা আনতে চাই। তার স্ত্রী একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। স্বাস্থ্যখাতে তিনি বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণ এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, এটা একটা বড় বিশাল একটা দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে যে ৩১ দফা দিয়েছেন, জাতির সবচাইতে প্রয়োজনীয় দফাগুলো দিয়েছেন, যেটাকে ম্যাগনা কার্টা (ঐতিহাসিক দলিল) বলি আমরা। সেখানে কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তিনি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার করেছেন।

জুলাই আন্দোলনকালে অনেক চিকিৎসককে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা ওই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে আহতদের চিকিৎসা করেছেন, এটা জাতি কোনোদিন ভুলবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অনুরোধ রাখতে চাই যারা (জুলাই আন্দোলনে) আহত আছে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা যেন এই সরকার গ্রহণ করে। এটা আমাদের অত্যন্ত বড় একটা চাওয়া এই দেশের মানুষের।

ড্যাবের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, আমি আশা করি এরপরে আপনাদের সংগঠনকে আপনারাই (ড্যাব) পরিচালনা করবেন। নিজেরাই নির্বাচন করবেন। হয়তো এটা আপনাদের অনেকের পছন্দ হবে না। আরেকটি কথা বলতে চাই, ড্যাবকে অন্যান্য সাধারণ সংগঠনের সঙ্গে এক করে ফেলবেন না। একদিকে আপনারা মানুষের সেবা দিচ্ছেন অন্যদিকে এই দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবেন, স্বাস্থ্যনীতি তৈরি করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা করবেন।

কারাগারে নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি যখন কাশিমপুর জেল থেকে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ি, যখন পিজিতে রেফার করল জেল কর্তৃপক্ষ। আমি আসলাম হুইলচেয়ারে তো বটেই, অত্যন্ত অসুস্থ ছিলাম। আমাদের চিকিৎসকরা যারা তখন পিজিতে ছিলেন তারা দেখেছেন যে আমি উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না, বসেছিলাম। আমাকে সারাদিন ওই হুইলচেয়ারে ডিরেক্টরের রুমের সামনে বসিয়ে রাখলো। তাদের ন্যূনতম সেই সৌজন্যটুকু হয়নি যে আমাকে ভেতরে গিয়ে বসিয়ে চিকিৎসা করাবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় আমার তখন ক্যারোটিড আর্টারি ব্লক হয়ে গিয়েছিল। সেই আর্টারি চিকিৎসার জন্য আমাকে পিজির চিকিৎসক রেফার করলেন বিদেশে পাঠানো দরকার। সরকার অনুমতি দেয়নি। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ৩ বার রিট করে মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে বাইরে যেতে হয়েছে। এটা কেন? আমরা পারস্পরিক হিংসা জিঘাংসার একটা কালচার তৈরি করেছি, এটা আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছে।

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ভোটের অধিকার নয়। মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটের অধিকার এবং অন্যের অধিকার সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। এসময় কাউন্সিলের আগত সবাই তার এ বক্তব্য করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। কাউন্সিলে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে শুরু করলে মির্জা ফখরুল তাদের থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘স্লোগান দেবেন না, স্লোগানের রাজনীতি বাদ দিতে হবে, প্লিজ স্লোগানের রাজনীতি বাদ দিতে হবে।’

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, আমাদের নেতা, ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি, ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী আজকে এখানে (ভার্চুয়ালি যুক্ত) বসে আছেন, আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, এই বিষয়টাকে (স্বাস্থ্যখাত) অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা, ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তার দৃষ্টিতে এটা আনতে চাই। তার স্ত্রী একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। স্বাস্থ্যখাতে তিনি বেশি গুরুত্ব দেবেন। কারণ এই দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, এটা একটা বড় বিশাল একটা দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে যে ৩১ দফা দিয়েছেন, জাতির সবচাইতে প্রয়োজনীয় দফাগুলো দিয়েছেন, যেটাকে ম্যাগনা কার্টা (ঐতিহাসিক দলিল) বলি আমরা। সেখানে কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তিনি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার করেছেন।

জুলাই আন্দোলনকালে অনেক চিকিৎসককে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা ওই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে আহতদের চিকিৎসা করেছেন, এটা জাতি কোনোদিন ভুলবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অনুরোধ রাখতে চাই যারা (জুলাই আন্দোলনে) আহত আছে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা যেন এই সরকার গ্রহণ করে। এটা আমাদের অত্যন্ত বড় একটা চাওয়া এই দেশের মানুষের।

ড্যাবের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, আমি আশা করি এরপরে আপনাদের সংগঠনকে আপনারাই (ড্যাব) পরিচালনা করবেন। নিজেরাই নির্বাচন করবেন। হয়তো এটা আপনাদের অনেকের পছন্দ হবে না। আরেকটি কথা বলতে চাই, ড্যাবকে অন্যান্য সাধারণ সংগঠনের সঙ্গে এক করে ফেলবেন না। একদিকে আপনারা মানুষের সেবা দিচ্ছেন অন্যদিকে এই দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবেন, স্বাস্থ্যনীতি তৈরি করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা করবেন।

কারাগারে নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি যখন কাশিমপুর জেল থেকে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ি, যখন পিজিতে রেফার করল জেল কর্তৃপক্ষ। আমি আসলাম হুইলচেয়ারে তো বটেই, অত্যন্ত অসুস্থ ছিলাম। আমাদের চিকিৎসকরা যারা তখন পিজিতে ছিলেন তারা দেখেছেন যে আমি উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না, বসেছিলাম। আমাকে সারাদিন ওই হুইলচেয়ারে ডিরেক্টরের রুমের সামনে বসিয়ে রাখলো। তাদের ন্যূনতম সেই সৌজন্যটুকু হয়নি যে আমাকে ভেতরে গিয়ে বসিয়ে চিকিৎসা করাবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় আমার তখন ক্যারোটিড আর্টারি ব্লক হয়ে গিয়েছিল। সেই আর্টারি চিকিৎসার জন্য আমাকে পিজির চিকিৎসক রেফার করলেন বিদেশে পাঠানো দরকার। সরকার অনুমতি দেয়নি। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ৩ বার রিট করে মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে বাইরে যেতে হয়েছে। এটা কেন? আমরা পারস্পরিক হিংসা জিঘাংসার একটা কালচার তৈরি করেছি, এটা আমাদের ধ্বংস করে দিচ্ছে।

এসি/