ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আদালতে দীপু মনি

আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

দীপু মনিকে সোমবার সকালে হাজতখানা থেকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে আদালতে যান। এ সময় তিনি মাস্ক, হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছিলেন।

দীপু মনিকে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়। তিনি মাথা নিচু করে থাকেন। পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। এর মধ্যেই দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল এজলাসে আসেন। গাজী ফয়জাল দীপু মনির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে আসেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা দীপু মনিকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে শুরু করেন। পরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীও দীপু মনিকে রিমান্ডে নেওয়ার সপক্ষে কথা বলতে শুরু করেন।

পিপি বলেন, মাননীয় আদালত, গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে হানিফ উড়ালসড়কের ঢালে মনির হোসেন নামের এক আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি দীপু মনি। হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল বলেন, ‘মাননীয় আদালত, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দীপু মনি কোনোভাবে জড়িত নন। দীপু মনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে আজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে এবং ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’

আইনজীবী গাজী ফয়সালের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা দীপু মনি নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। দীপু মনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি অসুস্থ। আমাকে আজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে নিয়ে আসা হলো আদালতে। আমাকে আবার ১০ দিন রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ।’

দীপু মনি আরো বলেন, ‘গত আগস্ট মাস থেকেই আমি অসুস্থ। আমার ব্রেন পরীক্ষার জন্য একবার কারাগার থেকে তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমার সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আবার আমাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে আজ আমাকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাচ্ছে, কাল আমাকে পরীক্ষা করতে নিয়ে যাচ্ছে, এভাবেই ঘোরানো হচ্ছে আমাকে। আমাকে আর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না।’

ক্ষোভের সঙ্গে দীপু মনি বলেন, তাঁর শারীরিক যে অবস্থা, তাতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা জরুরি। কারাগারে কীভাবে আছেন, সে ব্যাপারে দীপু মনি আদালতের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছি। ১৫ দিন পরপর আমার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাই। কিন্তু আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আমি কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি না। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছি, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি মাত্র তিনবার। আমার নামে ৬০টির অধিক মামলা। আমার আয়কর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা খুব জরুরি। মামলার বিষয় নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গেই পরামর্শ করতে চাই। মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর আইনজীবীর সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি।’

এ পর্যায়ে দীপু মনির বক্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, একজন আসামিকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীপু মনিকেও একইভাবে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর উনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন না, সেটি সঠিক নয়। কারণ, যখন ওনাদের আসামির কাঠগড়ায় আনা হয়, তখন তাঁরা তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

পিপির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আপনি জানেন সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন মারা গেছেন। আমি জেনেছি, ওনাকে চারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। আমি বলছি, আমি অসুস্থ। আমার ব্রেন পরীক্ষার প্রয়োজন। আমার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ?’

দীপু মনির এ বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সোলায়মান সেলিম রাগান্বিত হয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রসিকিউশনপক্ষের একজন আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘আপনাদের হাতে রক্তের দাগ রয়েছে।’

পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মাননীয় আদালত, দীপু মনির কথার যে টোন, তাতে প্রমাণিত হয়, উনি যতটা অসুস্থ বলছেন, ততটা নন।’ উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর আদেশের পর দীপু মনিকে আবার আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে দীপু মনিকে আদালতের হাজতখানা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

সানা/ কেএমএএ/আপ্র/০৬/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আদালতে দীপু মনি

আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ

আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে আদালতে যান। এ সময় তিনি মাস্ক, হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছিলেন।

দীপু মনিকে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়। তিনি মাথা নিচু করে থাকেন। পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। এর মধ্যেই দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল এজলাসে আসেন। গাজী ফয়জাল দীপু মনির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে আসেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা দীপু মনিকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে শুরু করেন। পরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীও দীপু মনিকে রিমান্ডে নেওয়ার সপক্ষে কথা বলতে শুরু করেন।

পিপি বলেন, মাননীয় আদালত, গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে হানিফ উড়ালসড়কের ঢালে মনির হোসেন নামের এক আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি দীপু মনি। হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল বলেন, ‘মাননীয় আদালত, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দীপু মনি কোনোভাবে জড়িত নন। দীপু মনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে আজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে আদালতে এবং ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’

আইনজীবী গাজী ফয়সালের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা দীপু মনি নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। দীপু মনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি অসুস্থ। আমাকে আজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে নিয়ে আসা হলো আদালতে। আমাকে আবার ১০ দিন রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ।’

দীপু মনি আরো বলেন, ‘গত আগস্ট মাস থেকেই আমি অসুস্থ। আমার ব্রেন পরীক্ষার জন্য একবার কারাগার থেকে তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমার সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আবার আমাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে আজ আমাকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাচ্ছে, কাল আমাকে পরীক্ষা করতে নিয়ে যাচ্ছে, এভাবেই ঘোরানো হচ্ছে আমাকে। আমাকে আর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে না।’

ক্ষোভের সঙ্গে দীপু মনি বলেন, তাঁর শারীরিক যে অবস্থা, তাতে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা জরুরি। কারাগারে কীভাবে আছেন, সে ব্যাপারে দীপু মনি আদালতের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আছি। ১৫ দিন পরপর আমার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাই। কিন্তু আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আমি কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি না। এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আছি, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি মাত্র তিনবার। আমার নামে ৬০টির অধিক মামলা। আমার আয়কর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা খুব জরুরি। মামলার বিষয় নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গেই পরামর্শ করতে চাই। মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর আইনজীবীর সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি।’

এ পর্যায়ে দীপু মনির বক্তব্যের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, একজন আসামিকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। দীপু মনিকেও একইভাবে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর উনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন না, সেটি সঠিক নয়। কারণ, যখন ওনাদের আসামির কাঠগড়ায় আনা হয়, তখন তাঁরা তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

পিপির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আপনি জানেন সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন মারা গেছেন। আমি জেনেছি, ওনাকে চারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। আমি বলছি, আমি অসুস্থ। আমার ব্রেন পরীক্ষার প্রয়োজন। আমার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। আমাদের কি মরিয়া প্রমাণ করতে হবে আমরা অসুস্থ?’

দীপু মনির এ বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সোলায়মান সেলিম রাগান্বিত হয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রসিকিউশনপক্ষের একজন আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘আপনাদের হাতে রক্তের দাগ রয়েছে।’

পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মাননীয় আদালত, দীপু মনির কথার যে টোন, তাতে প্রমাণিত হয়, উনি যতটা অসুস্থ বলছেন, ততটা নন।’ উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর আদেশের পর দীপু মনিকে আবার আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে দীপু মনিকে আদালতের হাজতখানা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

সানা/ কেএমএএ/আপ্র/০৬/১০/২০২৫