অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা চালাতে কী কী নথির প্রয়োজন, তার শুল্ক হার কত এবং এর বিপরীতে কোনো প্রণোদনাও মিলবে কি না- তার উত্তর মিলছে এক জায়গাতেই। এসব প্রশ্নের উত্তর না মেলায় নতুনরা ব্যবসায় আসতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ‘ইমপোর্ট এক্সপোর্ট হাব’ নামে বাংলাদেশ কাস্টমসের একটি ওয়েবসাইট রোববার উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, “আমরা প্রায় ক্ষেত্রে দেখি, যারা পুরনো প্লেয়ার তারাই সব দখল করে আছে। অথচ দেশ বড় হচ্ছে। আমাদের নতুন নতুন প্লেয়াররা আসার চেষ্টা করছে। “কিন্তু প্রায়ই আমরা শুনি, অলিগোপলি তৈরি হয়েছে। অলিগার্ক তৈরি হয়েছে।
এবং সব জায়গাতেই অল্প কিছু লোক বিজনেসের সাথে থাকে।” আবদুর রহমান খান বলেন, “আমি যদি নতুন ব্যবসায়ীদের আনতে চাই, তাহলে সকল প্রশ্নের জবাব এক জায়গায় থাকতে হবে। আমরা এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট হাবে সেই ব্যবস্থাই করেছি। প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব আছে। অথেনটিকেটেড ডকুমেন্টসহ। “আমি মনে করি, এটাও একটা ভালো কাজ হবে বিভিন্ন ফিল্ডে যারা নতুন করে আসতে চায়, ব্যবসা করতে চায়, এক্সপোর্ট ইমপোর্টে যারা আসতে চায়- তাদের জন্য বড় কাজ হবে।” এনবিআর কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও)’ সনদ দেওয়া হয়। এর আগে আরও ৭টি প্রতিষ্ঠান এই সনদ পেয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করছে, তাদের এই সনদ দিয়ে থাকে এনবিআর। ফলে আমদানি করা মাল কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই কারখানায় বা ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় প্রতিষ্ঠানটি।
সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অটোমেটিক অ্যাসেসমেন্ট করে মাল খালাস করা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে এই সনদের গুরুত্ব তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “যারা কমপ্লায়েন্ট ট্যাক্সপেয়ার, দীর্ঘদিন ধরে কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, আর যারা ফাঁকি দেন- সকল চাপ পড়ে আমাদের কমপ্লায়েন্ট ট্যাক্সপেয়ারদের উপরে, সব জায়গাতে। এটা ভিএটিতে (ভ্যাট) আছে, এটা ইনকাম ট্যাক্সে আছে, কাস্টমসে আছে। “আমরা এখান থেকে বের হতে চাই। আমরা চাই সবাই কমপ্লায়েন্ট হবে। এই প্রতিযোগিতায় আমরা ঢুকতে চাই।” এইও সনদের সুবিধা পুরোপুরি চালু হলে এনবিআর ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠী-উভয়েরই চাপ কমবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থাও এখান থেকে শিখতে পারে।