ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস

আমদানি নিষিদ্ধ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ৩৯ টন ঘনচিনি আটক

  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

 চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে আটক করা ঘনচিনির চালান -ছবি এনবিআরের সৌজন্যে

প্রত্যাশা ডেস্ক: নিজস্ব আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। সোমবার (১০ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) দল খালাসের শেষ মুহূর্তে ৩৯ টন ঘনচিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেটের চালান আটক করে। চীন থেকে এই ঘনচিনি আমদানি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

যেভাবে আটক হয়: এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক করা চালানের তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসপি ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হলো ২১৮ মিটফোর্ড রোড, বংশাল, ঢাকা। গত ৪ অক্টোবর পলিঅ্যালুনিমিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় চীন থেকে তিনটি কনটেইনারে ৬৩ মেট্রিক টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে সি বার্ড করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত ৭ অক্টোবর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

পণ্য চালানটি খালাসের জন্য ট্রাকে ওঠানোর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা পণ্যের খালাস স্থগিত করেন। গত ২৮ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার নমুনা চট্টগ্রামের কাস্টমস হাউস পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে ওই দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ২৪ টন পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া গেলেও বাকি ৩৯ টন পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুসারে পণ্যের চালানটি কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় এনবিআর।

কেন ক্ষতিকারক: এনবিআর জানিয়েছে, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকেন। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

সানা/আপ্র/১০/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস

আমদানি নিষিদ্ধ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ৩৯ টন ঘনচিনি আটক

আপডেট সময় : ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: নিজস্ব আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। সোমবার (১০ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) দল খালাসের শেষ মুহূর্তে ৩৯ টন ঘনচিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেটের চালান আটক করে। চীন থেকে এই ঘনচিনি আমদানি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

যেভাবে আটক হয়: এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক করা চালানের তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসপি ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হলো ২১৮ মিটফোর্ড রোড, বংশাল, ঢাকা। গত ৪ অক্টোবর পলিঅ্যালুনিমিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণায় চীন থেকে তিনটি কনটেইনারে ৬৩ মেট্রিক টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে সি বার্ড করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত ৭ অক্টোবর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

পণ্য চালানটি খালাসের জন্য ট্রাকে ওঠানোর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা পণ্যের খালাস স্থগিত করেন। গত ২৮ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যার নমুনা চট্টগ্রামের কাস্টমস হাউস পরীক্ষাগারে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে ওই দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ২৪ টন পলিঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড পাওয়া গেলেও বাকি ৩৯ টন পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন অনুসারে পণ্যের চালানটি কর্তৃক আটক করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় এনবিআর।

কেন ক্ষতিকারক: এনবিআর জানিয়েছে, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকলেট, কনডেন্সড মিল্ক ও শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকেন। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

সানা/আপ্র/১০/১১/২০২৫