ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

আমদানি করা যাবে অপরিশোধিত স্বর্ণ

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বর্ণের সঙ্গে আকরিক, অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ রেখে ‘স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২১)’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী দেশেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থাপন করা যাবে স্বর্ণ পরিশোধনাগার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বর্ণ নীতিমালার সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নীতিমালায় স্বর্ণ পরিশোধনাগারের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনটা স্বর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে, কোথায় কোথায় পরীক্ষা করা যাবে তা বলা হয়েছে।’ সচিব বলেন, ‘স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত স্বর্ণ, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করা যাবে। শুধুমাত্র স্বর্ণ নয়, কয়লাও আনা যাবে। অপরিশোধিত স্বর্ণ বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ থেকে বিভিন্ন গ্রেডের স্বর্ণবার তৈরি করতে পারবে।’ স্বর্ণ পরিশোধানাগার স্থাপন ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি মান ঠিক করে দেবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণবার রফতানির ক্ষেত্রে রফতানিকারকদের অবশ্যই স্বর্ণ পরিশোধানাগার থাকতে হবে। নিজস্ব ব্যবসার উদ্দেশে স্বর্ণবার আমদানির ক্ষেত্রে জামানত প্রয়োজন হবে না বলে নীতিমালায় নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, শুধু স্বর্ণ নয় অন্যান্য দামি দ্রব্যও এটার সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত করা হয়। কারণ সেগুলোর সঙ্গে অনেক বাই প্রডাক্ট থাকে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে শ্রম সস্তা, তাই বাই প্রোডাক্ট আসলে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। এসব বাই প্রোডাক্টের আন্তর্জাতিক বাজারও রয়েছে। যেমন-হীরা কেটে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এসব দ্রব্যের অনেক বাই প্রোডাক্টও পাওয়া যায়।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমদানি করা যাবে অপরিশোধিত স্বর্ণ

আপডেট সময় : ০২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বর্ণের সঙ্গে আকরিক, অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ রেখে ‘স্বর্ণ নীতিমালা, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২১)’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী দেশেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থাপন করা যাবে স্বর্ণ পরিশোধনাগার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বর্ণ নীতিমালার সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নীতিমালায় স্বর্ণ পরিশোধনাগারের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনটা স্বর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে, কোথায় কোথায় পরীক্ষা করা যাবে তা বলা হয়েছে।’ সচিব বলেন, ‘স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত স্বর্ণ, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করা যাবে। শুধুমাত্র স্বর্ণ নয়, কয়লাও আনা যাবে। অপরিশোধিত স্বর্ণ বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ থেকে বিভিন্ন গ্রেডের স্বর্ণবার তৈরি করতে পারবে।’ স্বর্ণ পরিশোধানাগার স্থাপন ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি মান ঠিক করে দেবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণবার রফতানির ক্ষেত্রে রফতানিকারকদের অবশ্যই স্বর্ণ পরিশোধানাগার থাকতে হবে। নিজস্ব ব্যবসার উদ্দেশে স্বর্ণবার আমদানির ক্ষেত্রে জামানত প্রয়োজন হবে না বলে নীতিমালায় নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, শুধু স্বর্ণ নয় অন্যান্য দামি দ্রব্যও এটার সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত করা হয়। কারণ সেগুলোর সঙ্গে অনেক বাই প্রডাক্ট থাকে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে শ্রম সস্তা, তাই বাই প্রোডাক্ট আসলে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। এসব বাই প্রোডাক্টের আন্তর্জাতিক বাজারও রয়েছে। যেমন-হীরা কেটে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এসব দ্রব্যের অনেক বাই প্রোডাক্টও পাওয়া যায়।’