ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

আমদানি করা চালে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দাম সহনীয় রাখতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন অনুসারে আরও অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সরকারিভাবেও চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতি পেয়েছে ৪২৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর আরও ৪৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১ লাখ ৬১ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৪২৭ প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে আমদানির অনুমতি দেওয়ার এ কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, সরকারিভাবেও বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত এক লাখ টন চাল দেশে এসেছে বলে জানা গেছে। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে এসব চাল আমদানি করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমদানি করা চালে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দাম সহনীয় রাখতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন অনুসারে আরও অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সরকারিভাবেও চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতি পেয়েছে ৪২৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর আরও ৪৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১ লাখ ৬১ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৪২৭ প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে আমদানির অনুমতি দেওয়ার এ কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, সরকারিভাবেও বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত এক লাখ টন চাল দেশে এসেছে বলে জানা গেছে। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে এসব চাল আমদানি করা হচ্ছে।