ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আবার বেড়েছে চাল সবজি ও মাছের দাম

  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে। কমে যাচ্ছে মানুষের আয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমছে না, বরং বাড়ছে। এই সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। বিশেষ করে গরিবের বা খেটে খাওয়া মানুষের মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। এ ছাড়াও নতুন করে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। বাজারে এখন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা, গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। এখন পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৬৭ কেজি। গোপিবাগ এলাকার চাল বিক্রেতা আহনাফ আলী বলেন, বাজারে চাল সরবরাহ আগের মত বাড়ছে না। বিশেষ করে বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউন। তিনি বলেন, চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীতে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
এদিকে টিসিবির হিসাব বলছে, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সবজি বাজারের তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। সবচেয়ে থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক সপ্তাহ আগে কেজি ৮০ টাকা কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর মানিক নগর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজি বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বাজারে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চিচিঙ্গার কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গেছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগের মতো ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে করল্লা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। চিংড়ি আগের মতো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা কেজি। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। অবশ্য গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এদিকে শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এ ছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আবার বেড়েছে চাল সবজি ও মাছের দাম

আপডেট সময় : ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে। কমে যাচ্ছে মানুষের আয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমছে না, বরং বাড়ছে। এই সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। বিশেষ করে গরিবের বা খেটে খাওয়া মানুষের মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। এ ছাড়াও নতুন করে বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম। তবে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। বাজারে এখন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা, গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। এখন পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। বাজারে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৬৭ কেজি। গোপিবাগ এলাকার চাল বিক্রেতা আহনাফ আলী বলেন, বাজারে চাল সরবরাহ আগের মত বাড়ছে না। বিশেষ করে বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউন। তিনি বলেন, চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীতে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
এদিকে টিসিবির হিসাব বলছে, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সবজি বাজারের তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। সবচেয়ে থেকে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। এক সপ্তাহ আগে কেজি ৮০ টাকা কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। একইভাবে ৮০ টাকা কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর মানিক নগর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজি বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বাজারে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চিচিঙ্গার কেজি সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়ে গেছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগের মতো ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে করল্লা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাঁকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা।
এদিকে আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। চিংড়ি আগের মতো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা কেজি। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। অবশ্য গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এদিকে শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এ ছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।