ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

আবারও বিস্ফোরিত হলো মাস্কের স্টারশিপ রকেট

  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: উৎক্ষেপণের পরপরই পরপর দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরিত হয় স্পেসএক্স-এর রকেট স্টারশিপ। আকাশ থেকে ভূমিতে আছড়ে পড়ে এর ধ্বংসাবশেষ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ বিস্ফোরণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের পরপরই স্পেসএক্স রকেটটির ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই মুহুর্তেই মহাকাশযানটির ধ্বংসাবশেষ পড়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে স্পেসএক্স।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানিটি বলেছে, মহাকাশে উৎক্ষেপণের সময় ‘দ্রুত অনির্ধারিতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে’ ও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে ক্রুবিহীন এ রকেটটি।

এখন পর্যন্ত তৈরি স্পেসএক্স-এর সবচেয়ে বড় এ রকেটটি উৎক্ষেপণের পরপরই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্যারিবিয়ান সাগরের বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রের ছবিতে দেখা গেছে, আকাশ থেকে আগুনের লেলিহান শিখার মতো রকেটটির ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ছে।

বিবিবি লিখেছে, স্পেসএক্স-এর স্টারশিপ রকেট পরীক্ষার অষ্টম মিশন এটি। দ্বিতীয় মতো উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হলো রকেটটি। এক ঘণ্টার মতো উড্ডয়নের পর ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পুনরায় প্রবেশের কথা ছিল ১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উচ্চতার এ মহাকাশযানটির।

স্পেসএক্স বলেছে, তাদের বিভিন্ন দল এ বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগে থেকে পরিকল্পিত আপৎকালীন সাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

কোম্পানিটি আরো বলেছে, এ দুর্ঘটনার মূল কারণ আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য তথ্য পর্যালোচনা করবে স্পেসএক্স। পাশাপাশি রকেটটির বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার পর বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। তবে বৃহস্পতিবারের এ বিস্ফোরণ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি মাস্ক।

এ দুর্ঘটনার কারণে জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ নিয়ে উদ্বেগের কারণে মায়ামি ও অরল্যান্ডো’সহ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এফএএ এক বিবৃতিতে বলেছে, রকেট বিস্ফোরণের ফলে এ দুর্ঘটনার কারণে বিমানবন্দরে প্লেনের ওঠা নামাতেও দেরি হয়েছে।

এর আগে, এ বছরের জানুয়ারিতে স্পেসএক্সের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই স্টারশিপ বিস্ফোরিত হয়। টার্কস অ্যান্ড কাইকোস প্রশাসন জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও স্পেসএক্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পোস্টে দেখা গেছে, জ্বলন্ত রকেটের ধ্বংসাবশেষ ক্যারিবিয়ান সাগরের ওপর আছড়ে পড়ছে। বাহামায় কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য আশ্রয় খুঁজছেন তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবারও বিস্ফোরিত হলো মাস্কের স্টারশিপ রকেট

আপডেট সময় : ০৭:১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: উৎক্ষেপণের পরপরই পরপর দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরিত হয় স্পেসএক্স-এর রকেট স্টারশিপ। আকাশ থেকে ভূমিতে আছড়ে পড়ে এর ধ্বংসাবশেষ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ বিস্ফোরণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের পরপরই স্পেসএক্স রকেটটির ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই মুহুর্তেই মহাকাশযানটির ধ্বংসাবশেষ পড়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে স্পেসএক্স।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানিটি বলেছে, মহাকাশে উৎক্ষেপণের সময় ‘দ্রুত অনির্ধারিতভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে’ ও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে ক্রুবিহীন এ রকেটটি।

এখন পর্যন্ত তৈরি স্পেসএক্স-এর সবচেয়ে বড় এ রকেটটি উৎক্ষেপণের পরপরই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্যারিবিয়ান সাগরের বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রের ছবিতে দেখা গেছে, আকাশ থেকে আগুনের লেলিহান শিখার মতো রকেটটির ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ছে।

বিবিবি লিখেছে, স্পেসএক্স-এর স্টারশিপ রকেট পরীক্ষার অষ্টম মিশন এটি। দ্বিতীয় মতো উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হলো রকেটটি। এক ঘণ্টার মতো উড্ডয়নের পর ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে পুনরায় প্রবেশের কথা ছিল ১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উচ্চতার এ মহাকাশযানটির।

স্পেসএক্স বলেছে, তাদের বিভিন্ন দল এ বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগে থেকে পরিকল্পিত আপৎকালীন সাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

কোম্পানিটি আরো বলেছে, এ দুর্ঘটনার মূল কারণ আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য তথ্য পর্যালোচনা করবে স্পেসএক্স। পাশাপাশি রকেটটির বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার পর বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। তবে বৃহস্পতিবারের এ বিস্ফোরণ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি মাস্ক।

এ দুর্ঘটনার কারণে জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ নিয়ে উদ্বেগের কারণে মায়ামি ও অরল্যান্ডো’সহ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এফএএ এক বিবৃতিতে বলেছে, রকেট বিস্ফোরণের ফলে এ দুর্ঘটনার কারণে বিমানবন্দরে প্লেনের ওঠা নামাতেও দেরি হয়েছে।

এর আগে, এ বছরের জানুয়ারিতে স্পেসএক্সের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই স্টারশিপ বিস্ফোরিত হয়। টার্কস অ্যান্ড কাইকোস প্রশাসন জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও স্পেসএক্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স পোস্টে দেখা গেছে, জ্বলন্ত রকেটের ধ্বংসাবশেষ ক্যারিবিয়ান সাগরের ওপর আছড়ে পড়ছে। বাহামায় কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য আশ্রয় খুঁজছেন তারা।