ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর

  • আপডেট সময় : ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে গেল। আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। আদালত জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুত করতে আরও সময় প্রয়োজন। এর আগে আলোচিত মামলাটির রায়ের জন্য নির্ধারিত দিনে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরবর্তী সময়ে তাদের সবাই বুয়েট এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন। এই ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই ২৫ জনের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন তিনজন। আটজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু। পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদ-উজ-জামান ম-ল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায় ঘোষণা পিছিয়ে গেল। আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। আদালত জানান, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রস্তুত করতে আরও সময় প্রয়োজন। এর আগে আলোচিত মামলাটির রায়ের জন্য নির্ধারিত দিনে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরবর্তী সময়ে তাদের সবাই বুয়েট এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হন। এই ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই ২৫ জনের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন তিনজন। আটজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু। পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদ-উজ-জামান ম-ল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।