ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আফ্রিকাকে বিনামূল্যে সার দেবে রাশিয়া

  • আপডেট সময় : ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উরালকেম বিনামূল্যে আফ্রিকার দেশগুলোকে সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিমিত্রি কোনায়েভ গত সোমবার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি সত্যিই অনেক খারাপ। বহুদিন ধরে আফ্রিকা মহাদেশ ক্ষুধা পীড়িত এবং এ অবস্থায় সার উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে আমরা এই মহাদেশকে বিনামূল্যে সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমরা বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ চেইনের অংশ।” বলা হচ্ছে- মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে রাশিয়া ২৫ হাজার টন সার রিপাবলিক অব টোগোতে পাঠানো হবে।উরালকেম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তথ্য মতে, তার দেশে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে যার কারণে রাশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এখন রাশিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সার বাইরে পাঠাতে পারে। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে রাশিয়ার তিন লাখ টন সার নিয়ে কয়েকটি জাহাজ আটক রয়েছে, এসব সার তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য ব্রাসেলস রাশিয়া থেকে সার কেনার যে অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে স্বাগত জানান কিন্তু একই সঙ্গে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বলেন, এই জোট শুধুমাত্র ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে সার কেনার সুযোগ দিচ্ছে, অন্য দেশগুলোকে সে সুযোগ দিচ্ছে না। গত জুলাই মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে রপ্তানি করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু রাশিয়া বলছে এখনো নষ্ট সেই সুযোগ ব্যবহার করতে পারেনি। সার রপ্তানি ক্ষেত্রে ইউরোপীয় বন্দরগুলো রাশিয়ার জাহাজগুলোকে অনুমতি দিচ্ছে না।#

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আফ্রিকাকে বিনামূল্যে সার দেবে রাশিয়া

আপডেট সময় : ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উরালকেম বিনামূল্যে আফ্রিকার দেশগুলোকে সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিমিত্রি কোনায়েভ গত সোমবার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি সত্যিই অনেক খারাপ। বহুদিন ধরে আফ্রিকা মহাদেশ ক্ষুধা পীড়িত এবং এ অবস্থায় সার উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে আমরা এই মহাদেশকে বিনামূল্যে সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমরা বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ চেইনের অংশ।” বলা হচ্ছে- মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে রাশিয়া ২৫ হাজার টন সার রিপাবলিক অব টোগোতে পাঠানো হবে।উরালকেম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তথ্য মতে, তার দেশে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে যার কারণে রাশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এখন রাশিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সার বাইরে পাঠাতে পারে। সম্প্রতি উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে রাশিয়ার তিন লাখ টন সার নিয়ে কয়েকটি জাহাজ আটক রয়েছে, এসব সার তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য ব্রাসেলস রাশিয়া থেকে সার কেনার যে অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে স্বাগত জানান কিন্তু একই সঙ্গে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বলেন, এই জোট শুধুমাত্র ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে সার কেনার সুযোগ দিচ্ছে, অন্য দেশগুলোকে সে সুযোগ দিচ্ছে না। গত জুলাই মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে রপ্তানি করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু রাশিয়া বলছে এখনো নষ্ট সেই সুযোগ ব্যবহার করতে পারেনি। সার রপ্তানি ক্ষেত্রে ইউরোপীয় বন্দরগুলো রাশিয়ার জাহাজগুলোকে অনুমতি দিচ্ছে না।#