ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

আফিম চাষ নিষিদ্ধ হলো আফগানিস্তানে

  • আপডেট সময় : ১০:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে আফিমসহ যাবতীয় মাদক চাষ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। রোববার (৩ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই আইনটির কথা জানানো হয়েছে। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আদেশে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার ডিক্রি অনুযায়ী সব আফগানদের জানানো যাচ্ছে এখন থেকে সারাদেশে পপি চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তবে তার শরিয়াহ আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার বা পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আফগানিস্তানে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রধান দাবির মধ্যে একটি। গতবছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সেনা প্রত্যাহার ও সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পর চরম আর্থিক সংকটে পড়ে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে আটকে আছে তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে তাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির তৎপরতা চালাচ্ছে তালেবান সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০০ সালেও তালেবান সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন হয় আফগানিস্তানে। জাতিসংঘের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে সারাবিশ্বে উৎপাদিত মোট আফিমের প্রায় ৮৫ শতাংশই আফগানিস্তানে উৎপাদিত হয়েছে। পপি গাছ তথা আফিম চাষ দীর্ঘদিন ধরে আফগান জনগোষ্ঠীর আয়ের একটি বড় উৎস। দেশটির এক কৃষক জানিয়েছেন, সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে পপি চাষ বন্ধ হচ্ছে এমন খবরে বাজারে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যান্য ফসলে তেমন লাভ নেই বলে এটির উৎপাদন চালু রাখার পক্ষে এই কৃষক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফিম চাষ নিষিদ্ধ হলো আফগানিস্তানে

আপডেট সময় : ১০:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে আফিমসহ যাবতীয় মাদক চাষ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। রোববার (৩ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই আইনটির কথা জানানো হয়েছে। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আদেশে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার ডিক্রি অনুযায়ী সব আফগানদের জানানো যাচ্ছে এখন থেকে সারাদেশে পপি চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তবে তার শরিয়াহ আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার বা পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আফগানিস্তানে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রধান দাবির মধ্যে একটি। গতবছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের সেনা প্রত্যাহার ও সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পর চরম আর্থিক সংকটে পড়ে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে আটকে আছে তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে তাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির তৎপরতা চালাচ্ছে তালেবান সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০০ সালেও তালেবান সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন হয় আফগানিস্তানে। জাতিসংঘের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে সারাবিশ্বে উৎপাদিত মোট আফিমের প্রায় ৮৫ শতাংশই আফগানিস্তানে উৎপাদিত হয়েছে। পপি গাছ তথা আফিম চাষ দীর্ঘদিন ধরে আফগান জনগোষ্ঠীর আয়ের একটি বড় উৎস। দেশটির এক কৃষক জানিয়েছেন, সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে পপি চাষ বন্ধ হচ্ছে এমন খবরে বাজারে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যান্য ফসলে তেমন লাভ নেই বলে এটির উৎপাদন চালু রাখার পক্ষে এই কৃষক।