ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

আফগান হেরোইন বন্যার পানির মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ববাজারে

  • আপডেট সময় : ১২:০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালেবান। নতুন করে শুরু হয় তালেবান যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে। আর সেই থেকেই তৈরি হয় হেরোইন। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে এই নিষিদ্ধ মাদকের। আর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নতুন মাত্রা পেয়েছে মাদক ব্যবসা। গোটা বিশ্বে বন্যার পানির মত ছড়িয়ে পড়ছে আফগান আফিম, জন্ম দিচ্ছে মাদক সন্ত্রাসের। যা নিয়ে চিন্তিত বিশ্বনেতারা, বিশেষ করে এই মাদক বিশ্বের শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া আফিম থেকে পাকিস্তানে ল্যাবরেটরিতে বিশাল পরিমাণের হেরোইন তৈরি হচ্ছে এবং তা ইউরোপের বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া মাদকের ৪০ শতাংশ পাচার হয় পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক হামিদ মীর লিখছেন, আফগান মাদক ব্যবসার অন্যতম মাধ্যম হল পাকিস্তান। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক রিপোর্ট পেশ করেছে ‘ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস’ (ঊঋঝঅঝ)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৮৭ শতাংশ আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে।
প্রায় দুই দশক ধরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেও সেদেশে আফিম চাষে লাগাম টানতে সক্ষম হয়নি আমেরিকা। ইএফএসএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এসে আফিম চাষে লাগাম টানার কথা ঘোষণা করেছিল তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। কিন্তু সেসব আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি ছিল। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এগেইনস্ট ট্রান্সিশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম জানাচ্ছে- এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে বিদেশি ফান্ড আসা বন্ধ। তাই দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এখন মাদক ব্যবসার ওপর জোর দিয়েছে তালেবানরা। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার দূত জন গডফ্রে আফ্রিকার বর্ণনা করেছেন। তিনি বলছেন, মোজাম্বিকে মাদক সন্ত্রাস এবং সেই সঙ্গে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার জন্য অর্থের অফুরান যোগান পরিস্থিতিকে আরো খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের সঙ্গে আবার যোগ রয়েছে আল সুন্নাহ ওয়া জামা-র (অঝডঔ) মত বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের। যারা অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে মাদক সন্ত্রাসে। ন্যাটোর কমান্ডার ড্যান ম্যাকনিল বলছেন, যখন আফগানিস্তানের বুকে লম্বা লম্বা আফিম ক্ষেত দেখি তখন আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাশি রাশি টাকা। যা যোগান দিচ্ছে ওঊউ, অক এবং জচএ-এর মতো মারণাস্ত্রের। ‘ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস’ (ঊঋঝঅঝ ) অবিলম্বে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে আফগান আফিমের ঢালাও ব্যবসাতে লাগাম পরানোর বিষয়ে নজর দিতে বলেছে, নাহলে আগামীদিনে মাদক সন্ত্রাস গোটা বিশ্বকে গ্রাস করবে বলে আশঙ্কিত তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফগান হেরোইন বন্যার পানির মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ববাজারে

আপডেট সময় : ১২:০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালেবান। নতুন করে শুরু হয় তালেবান যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে। আর সেই থেকেই তৈরি হয় হেরোইন। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে এই নিষিদ্ধ মাদকের। আর তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নতুন মাত্রা পেয়েছে মাদক ব্যবসা। গোটা বিশ্বে বন্যার পানির মত ছড়িয়ে পড়ছে আফগান আফিম, জন্ম দিচ্ছে মাদক সন্ত্রাসের। যা নিয়ে চিন্তিত বিশ্বনেতারা, বিশেষ করে এই মাদক বিশ্বের শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া আফিম থেকে পাকিস্তানে ল্যাবরেটরিতে বিশাল পরিমাণের হেরোইন তৈরি হচ্ছে এবং তা ইউরোপের বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া মাদকের ৪০ শতাংশ পাচার হয় পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক হামিদ মীর লিখছেন, আফগান মাদক ব্যবসার অন্যতম মাধ্যম হল পাকিস্তান। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক রিপোর্ট পেশ করেছে ‘ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস’ (ঊঋঝঅঝ)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৮৭ শতাংশ আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে।
প্রায় দুই দশক ধরে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেও সেদেশে আফিম চাষে লাগাম টানতে সক্ষম হয়নি আমেরিকা। ইএফএসএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এসে আফিম চাষে লাগাম টানার কথা ঘোষণা করেছিল তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। কিন্তু সেসব আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি ছিল। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এগেইনস্ট ট্রান্সিশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম জানাচ্ছে- এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে বিদেশি ফান্ড আসা বন্ধ। তাই দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এখন মাদক ব্যবসার ওপর জোর দিয়েছে তালেবানরা। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার দূত জন গডফ্রে আফ্রিকার বর্ণনা করেছেন। তিনি বলছেন, মোজাম্বিকে মাদক সন্ত্রাস এবং সেই সঙ্গে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার জন্য অর্থের অফুরান যোগান পরিস্থিতিকে আরো খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের সঙ্গে আবার যোগ রয়েছে আল সুন্নাহ ওয়া জামা-র (অঝডঔ) মত বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের। যারা অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে মাদক সন্ত্রাসে। ন্যাটোর কমান্ডার ড্যান ম্যাকনিল বলছেন, যখন আফগানিস্তানের বুকে লম্বা লম্বা আফিম ক্ষেত দেখি তখন আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাশি রাশি টাকা। যা যোগান দিচ্ছে ওঊউ, অক এবং জচএ-এর মতো মারণাস্ত্রের। ‘ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস’ (ঊঋঝঅঝ ) অবিলম্বে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে আফগান আফিমের ঢালাও ব্যবসাতে লাগাম পরানোর বিষয়ে নজর দিতে বলেছে, নাহলে আগামীদিনে মাদক সন্ত্রাস গোটা বিশ্বকে গ্রাস করবে বলে আশঙ্কিত তারা।