ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ যেন হারিয়ে না যায়: মালালা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানের নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি জোর আহ্বান জানালেন শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই। একইসঙ্গে দেশটির সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আহ্ববান জানিয়েছেন এই নারী অধিকারকর্মী।
গত সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সামরিক বিমানে চেপে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমন চিত্র মর্মান্তিক এবং এটি প্রমাণ দেয় যে বর্তমানে জরুরি মানবিক সংকট’।
সাক্ষাৎকার এই নোবেল জয়ী আরও বলেন, ‘আফগান শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের সীমানা খুলে দিতে প্রত্যেক দেশের ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে। সংকট মোকাবিলায় আফগান শরণার্থীদের জায়গা দেওয়াটা জরুরি মানবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীদের নিয়ে মালালা বলেন, ‘আফগানিস্তানের নারী এবং ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত। দেশটির নারীদের ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছ তা জানে না তারা’। মালালা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে আফগান বাস্তুচ্যুতদের তার দেশে স্বাগত জানানোর জন্য আহ্বান জানান। ‘আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শরণার্থী শিশুরা যেন সেখানে শিক্ষার সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করতেও অনুরোধ করেছি। ওরা নিরাপদে থাকুক। ভবিষ্যৎ যেন হারিয়ে না যায়’।
আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানে কয়েক লাখ আফগান শরণার্থী বছরের পর বছর অবস্থান করছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার দেশে জায়গা দেওয়ার মতো আর সামর্থ্য নেই ইসলামাবাদের। এর মধ্যেই মালালা নতুন করে আফগান শরণার্থীদের জায়গা দিতে ইমরান খানকে চিঠি লিখলেন। তবে এখনও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মালালার চিঠির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের হুমকি ধামকি উপেক্ষা করেই পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষা নিয়ে প্রচার চালান কিশোরী মালালা। স্কুল থেকে ফেরার সময় তালেবানের হামলার শিকার হয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় লন্ডনে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ যেন হারিয়ে না যায়: মালালা

আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানের নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি জোর আহ্বান জানালেন শান্তিতে নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই। একইসঙ্গে দেশটির সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আহ্ববান জানিয়েছেন এই নারী অধিকারকর্মী।
গত সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘সামরিক বিমানে চেপে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমন চিত্র মর্মান্তিক এবং এটি প্রমাণ দেয় যে বর্তমানে জরুরি মানবিক সংকট’।
সাক্ষাৎকার এই নোবেল জয়ী আরও বলেন, ‘আফগান শরণার্থীদের জন্য বিশ্বের সীমানা খুলে দিতে প্রত্যেক দেশের ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে। সংকট মোকাবিলায় আফগান শরণার্থীদের জায়গা দেওয়াটা জরুরি মানবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীদের নিয়ে মালালা বলেন, ‘আফগানিস্তানের নারী এবং ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত। দেশটির নারীদের ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছ তা জানে না তারা’। মালালা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে আফগান বাস্তুচ্যুতদের তার দেশে স্বাগত জানানোর জন্য আহ্বান জানান। ‘আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শরণার্থী শিশুরা যেন সেখানে শিক্ষার সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করতেও অনুরোধ করেছি। ওরা নিরাপদে থাকুক। ভবিষ্যৎ যেন হারিয়ে না যায়’।
আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানে কয়েক লাখ আফগান শরণার্থী বছরের পর বছর অবস্থান করছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার দেশে জায়গা দেওয়ার মতো আর সামর্থ্য নেই ইসলামাবাদের। এর মধ্যেই মালালা নতুন করে আফগান শরণার্থীদের জায়গা দিতে ইমরান খানকে চিঠি লিখলেন। তবে এখনও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে মালালার চিঠির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের হুমকি ধামকি উপেক্ষা করেই পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষা নিয়ে প্রচার চালান কিশোরী মালালা। স্কুল থেকে ফেরার সময় তালেবানের হামলার শিকার হয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় লন্ডনে।