ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

আফগানিস্তানে ২০ দিনের শিশু কন্যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসছে : ইউনিসেফ

  • আপডেট সময় : ১১:০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র আর্থিক ও মানবিক সংকটে পড়েছেন দেশটির নাগরিকরা। কিন্তু আর্থিক সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আফগান ভূখ-ে মেয়ে শিশুদের বিয়ে দেওয়ার হার চরম আকার ধারণ করেছে।
এমনকি যৌতুকের আশায় ২০ দিন বয়সী শিশু কন্যাকেও ভবিষ্যতে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার এই তথ্য সামনে এনেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে হেনরিয়েটা ফোর জানান, আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরুর আগেও দেশটিতে বাল্যবিবাহ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দেশটির কেবল হেরাত ও বাগদিস প্রদেশে ১৮৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ওই একই সময়ে প্রদেশ দু’টিতে অর্থের বিনিময়ে শিশুদের বিক্রির ১০টি ঘটনা ঘটেছে। বিক্রির শিকার ওইসব শিশুদের বয়স ৬ মাস থেকে ১৭ বছর।
বিবৃতিতে হেনরিয়েটা জানান, ‘আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এমনকি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, যৌতুকের বিনিময়ে ২০ দিন বয়সী শিশুকেও ভবিষ্যতে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি, চলমান খাদ্য সংকট এবং শীত মৌসুমের শুরু আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। হেনরিয়েটা ফোরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে আফগান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এতোটাই দরিদ্র ছিলেন যে, তারা মৌলিক পুষ্টি অথবা পরিষ্কার পানি পানের প্রয়োজনীয়তাও মেটাতে পারতেন না।
তার ভাষায়, ‘আফগানিস্তানের চরম সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির মানুষ প্রতিদিনই আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আর এর কারণেই অনেক আফগান পরিবার শিশুদের কাজ করতে পাঠানো এবং মেয়েদের অল্পবয়সে বিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফগানিস্তানে ২০ দিনের শিশু কন্যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসছে : ইউনিসেফ

আপডেট সময় : ১১:০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র আর্থিক ও মানবিক সংকটে পড়েছেন দেশটির নাগরিকরা। কিন্তু আর্থিক সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আফগান ভূখ-ে মেয়ে শিশুদের বিয়ে দেওয়ার হার চরম আকার ধারণ করেছে।
এমনকি যৌতুকের আশায় ২০ দিন বয়সী শিশু কন্যাকেও ভবিষ্যতে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার এই তথ্য সামনে এনেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে হেনরিয়েটা ফোর জানান, আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরুর আগেও দেশটিতে বাল্যবিবাহ প্রকট আকার ধারণ করেছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দেশটির কেবল হেরাত ও বাগদিস প্রদেশে ১৮৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ওই একই সময়ে প্রদেশ দু’টিতে অর্থের বিনিময়ে শিশুদের বিক্রির ১০টি ঘটনা ঘটেছে। বিক্রির শিকার ওইসব শিশুদের বয়স ৬ মাস থেকে ১৭ বছর।
বিবৃতিতে হেনরিয়েটা জানান, ‘আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এমনকি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, যৌতুকের বিনিময়ে ২০ দিন বয়সী শিশুকেও ভবিষ্যতে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি, চলমান খাদ্য সংকট এবং শীত মৌসুমের শুরু আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। হেনরিয়েটা ফোরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে আফগান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এতোটাই দরিদ্র ছিলেন যে, তারা মৌলিক পুষ্টি অথবা পরিষ্কার পানি পানের প্রয়োজনীয়তাও মেটাতে পারতেন না।
তার ভাষায়, ‘আফগানিস্তানের চরম সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির মানুষ প্রতিদিনই আরও খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। আর এর কারণেই অনেক আফগান পরিবার শিশুদের কাজ করতে পাঠানো এবং মেয়েদের অল্পবয়সে বিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।’