ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আফগানিস্তানে স্থল মাইন বিস্ফোরণে নিহত ১১

  • আপডেট সময় : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে রাস্তায় পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তিনটি শিশুসহ একটি গাড়ির অন্তত ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বাডগিস প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে গতকাল রোববার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বোমাটি পেতে রাখার জন্য তারা তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন।
বাডগিসের গভর্নর হুসামুদ্দিন শামস জানিয়েছেন, ওই ১১ জন যাত্রী কালা-ই-নাও শহরের দিকে যাওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন। তালেবানসহ কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীই এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর কাতারে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া, কূটনীতিকদের ও আফগানিস্তানে কর্মরত মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই ‘আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি জোরালো প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি’ করেছেন বলে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানভিত্তিক জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর কর্মীদের ও অন্যান্য কূটনীতিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে।
কাতারে তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশে সরকারি বাহিনীগুলো ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অবিরত হামলার জন্য তালেবানকে অভিযুক্ত করেছেন আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি প্রদেশের সম্পূর্ণ ভূখ-গত নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা, যানবাহনের নিচে পেতে রাখা ছোট চুম্বুক বোমা ও অন্যান্য হামলাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।
সাধারণত দেশটির সরকার এসব হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করে, কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণা আসার পর থেকে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এপ্রিলে জাতিসংঘ জানায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রায় এক হাজার ৮০০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চললেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

আফগানিস্তানে স্থল মাইন বিস্ফোরণে নিহত ১১

আপডেট সময় : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে রাস্তায় পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তিনটি শিশুসহ একটি গাড়ির অন্তত ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বাডগিস প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে গতকাল রোববার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বোমাটি পেতে রাখার জন্য তারা তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন।
বাডগিসের গভর্নর হুসামুদ্দিন শামস জানিয়েছেন, ওই ১১ জন যাত্রী কালা-ই-নাও শহরের দিকে যাওয়ার সময় মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন। তালেবানসহ কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীই এ হামলায় দায় স্বীকার করেনি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর কাতারে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া, কূটনীতিকদের ও আফগানিস্তানে কর্মরত মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠকে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই ‘আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি জোরালো প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি’ করেছেন বলে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানভিত্তিক জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর কর্মীদের ও অন্যান্য কূটনীতিকদের নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছে।
কাতারে তারা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশে সরকারি বাহিনীগুলো ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অবিরত হামলার জন্য তালেবানকে অভিযুক্ত করেছেন আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি প্রদেশের সম্পূর্ণ ভূখ-গত নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা, যানবাহনের নিচে পেতে রাখা ছোট চুম্বুক বোমা ও অন্যান্য হামলাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।
সাধারণত দেশটির সরকার এসব হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করে, কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এসব হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণা আসার পর থেকে আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এপ্রিলে জাতিসংঘ জানায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী ও তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রায় এক হাজার ৮০০ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চললেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।