আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের একজন পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার নানগাহার প্রদেশে অবস্থানরত ওই ব্যক্তিকে টার্গেট করেই এই সফল অভিযান চালানো হয়। তবে এতে কোনও বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাবুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে আইএসের আঞ্চলিক শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে)। ওই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১৮৮ জন নিহত হয়।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে গণ-উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্তির যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তা শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এরইমধ্যে গত দুই সপ্তাহে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর এলাকায় হামলা চালায় আইএস-কে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হামলার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এই হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।
এখনও কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করছে প্রায় পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা। দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগান নাগরিকদের চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা দিচ্ছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পর আফগানিস্তানে এটিই ছিল প্রথম কোনও মার্কিন ড্রোন হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ‘আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আমরা লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করতে পেরেছি। এছাড়া আমরা জানা মতে বেসামরিক কেউ হতাহত হয়নি।’
আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় ‘আইএসের পরিকল্পনাকারী’ নিহত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ