ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন হিলারি

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ও নেটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেমোক্র্যাটিকের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করা হিলারি ক্লিন্টন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে তালেবান আবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেনা ফেরানোর সিদ্ধান্তকে কঠিন হিসেবে উল্লেখ করে হিলারি বলেন, ‘অনেক কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি এই বিষয়টিকে উভয় সমস্যা হিসেবে দেখি। সেনা প্রত্যাহার কিংবা থেকে যাওয়া, দুটো বিষয়ের একটা পরিণতি আছে বলে আমি মনে করি। তবে এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কঠিন পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে।’
আশঙ্কার কথা জানিয়ে হিলারি বলেন, কাবুল সরকারের পতন হতে পারে এবং ক্ষমতা চলে যেতে পারে তালেবানের হাতে। আর তাতে বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- আবার বেড়ে যেতে পারে।
হিলারি বলেন, ‘আমার মতে, এই দুটি কঠিন বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়া সেনাদের প্রত্যাহার করে নিলে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু সেই সম্ভাব্য পরিণতি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না।’
১৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর শনিবার (১ মে) আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের পর্যন্ত চলবে সেনা ফেরানোর প্রক্রিয়া।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালিবানদের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।
সেসময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী কট্টরপন্থী তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট নেটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন হিলারি

আপডেট সময় : ১১:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন ও নেটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেমোক্র্যাটিকের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করা হিলারি ক্লিন্টন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে তালেবান আবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেনা ফেরানোর সিদ্ধান্তকে কঠিন হিসেবে উল্লেখ করে হিলারি বলেন, ‘অনেক কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি এই বিষয়টিকে উভয় সমস্যা হিসেবে দেখি। সেনা প্রত্যাহার কিংবা থেকে যাওয়া, দুটো বিষয়ের একটা পরিণতি আছে বলে আমি মনে করি। তবে এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কঠিন পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে।’
আশঙ্কার কথা জানিয়ে হিলারি বলেন, কাবুল সরকারের পতন হতে পারে এবং ক্ষমতা চলে যেতে পারে তালেবানের হাতে। আর তাতে বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- আবার বেড়ে যেতে পারে।
হিলারি বলেন, ‘আমার মতে, এই দুটি কঠিন বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়া সেনাদের প্রত্যাহার করে নিলে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু সেই সম্ভাব্য পরিণতি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না।’
১৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর শনিবার (১ মে) আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের পর্যন্ত চলবে সেনা ফেরানোর প্রক্রিয়া।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালিবানদের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।
সেসময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী কট্টরপন্থী তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট নেটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।