ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা ফের চালু করতে দূত পাঠাচ্ছে ওআইসি

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক :গত দেড় বছর ধরে আফগানিস্তান বন্ধ আছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেই বিতাড়িত করা হচ্ছে নারীদের। নারীশিক্ষা ফের চালু করতে তাই দেশটিতে আলেমদের বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএনআই। উত্তর আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসির ৪৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথমদিন এই জোটের মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা এক ঘোষণায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারটিতে ওআইসি খুবই উদ্বিগ্ন।’‘ইসলামের সঙ্গে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো বিরোধ নেই। ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল দেশটিতে যাবে এবং আফগানিস্তানে নারীশিক্ষা ফের চালু করতে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’ তিনি আরও জানান, এই আলোচনা ও বৈঠকের ব্যাপারটি এখানেই শেষ হবে না; ওআইসির প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ওআইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে, ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবান। কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশজুড়ে সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) স্কুলগুলো নিষিদ্ধ করে; পাশপাশি বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। তালেবান নেতারা অবশ্য বলেছিলেন, কিছু সমস্যার কারণে মেয়ে স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে— পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সেগুলো চালু করা হবে। এমনকি তারা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন— ২০২২ সালের ২৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তোলো নিউজকে বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আমাদের সামনে আছে— সেগুলো সমাধানের চেষ্টা আমরা করছিৃ.কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু আশা করছি শিগগিরই সেসব সমাধান হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা ফের চালু করতে দূত পাঠাচ্ছে ওআইসি

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

বিদেশের খবর ডেস্ক :গত দেড় বছর ধরে আফগানিস্তান বন্ধ আছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেই বিতাড়িত করা হচ্ছে নারীদের। নারীশিক্ষা ফের চালু করতে তাই দেশটিতে আলেমদের বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএনআই। উত্তর আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসির ৪৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথমদিন এই জোটের মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা এক ঘোষণায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারটিতে ওআইসি খুবই উদ্বিগ্ন।’‘ইসলামের সঙ্গে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো বিরোধ নেই। ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল দেশটিতে যাবে এবং আফগানিস্তানে নারীশিক্ষা ফের চালু করতে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’ তিনি আরও জানান, এই আলোচনা ও বৈঠকের ব্যাপারটি এখানেই শেষ হবে না; ওআইসির প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ওআইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে, ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবান। কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশজুড়ে সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) স্কুলগুলো নিষিদ্ধ করে; পাশপাশি বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। তালেবান নেতারা অবশ্য বলেছিলেন, কিছু সমস্যার কারণে মেয়ে স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে— পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সেগুলো চালু করা হবে। এমনকি তারা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন— ২০২২ সালের ২৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তোলো নিউজকে বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আমাদের সামনে আছে— সেগুলো সমাধানের চেষ্টা আমরা করছিৃ.কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু আশা করছি শিগগিরই সেসব সমাধান হবে।’