ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আফগানিস্তানে ‘জঞ্জাল’ সরাতেই শুধু পাকিস্তানকে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের: ইমরান খান

  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া ‘জঞ্জাল’ দূর করতেই কেবল তার দেশকে প্রয়োজনীয় মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
রাজধানী ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এই অভিযোগ করেন। আফগান সরকারের সঙ্গে ভেস্তে যাওয়া শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য তালেবানের ওপর পাকিস্তান যাতে প্রভাব খাটায় সেজন্য দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে ওয়াশিংটন।
ইমরান খান বলেন, “২০ বছর ধরে সামরিক সমাধান খোঁজার পর তা না পেয়ে তাদের ফেলে যাওয়া জঞ্জালের নিষ্পত্তি করতেই কেবল পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়।”
আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার পর থেকে আগের চেয়ে আরও বেশি এলাকা দখল নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
কাবুল এবং বেশ কিছু পশ্চিমা সরকারের অভিযোগ, তালেবানদের পেছনে পাকিস্তানের সমর্থন থাকার কারণেই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তালেবানদের সহায়তার অভিযোগ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের দীর্ঘ দিনের তিক্ততার সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, আফগানিস্তানে কোনো পক্ষ নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। “আমার মনে হয় আমেরিকানরা এখন ভারতকে কৌশলগত সঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি মনে করছি এ কারণেই পাকিস্তানের সঙ্গে এখন ভিন্ন আচরণ করা হচ্ছে” ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কোনো রাজনৈতিক সমাধান বেশ কঠিন মনে হচ্ছে। তালেবান নেতারা পাকিস্তানে যাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে একটি বন্দোবস্তে পৌঁছার চেষ্টা করেছেন।
তালেবান নেতাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “তাদের শর্ত, যতদিন আশরাফ ঘানি (আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট) আছেন, আমরা (তালেবান) আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাব না।”
তালেবানরা আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত পুতুল সরকার মনে করে। যে কারণে গত সেপ্টেম্বরে কাবুলের আলোচকদের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনারও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা দুই পক্ষকে আলোচনায় বসানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তালেবানদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আফগান বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ৩১ অগাস্টের পর এই সমর্থন থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইমরান খান জানান, ‘এটা অত্যন্ত পরিষ্কার’ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো সেনা ঘাঁটি চায় না পাকিস্তান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

আফগানিস্তানে ‘জঞ্জাল’ সরাতেই শুধু পাকিস্তানকে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের: ইমরান খান

আপডেট সময় : ১১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া ‘জঞ্জাল’ দূর করতেই কেবল তার দেশকে প্রয়োজনীয় মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
রাজধানী ইসলামাবাদে নিজ বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এই অভিযোগ করেন। আফগান সরকারের সঙ্গে ভেস্তে যাওয়া শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য তালেবানের ওপর পাকিস্তান যাতে প্রভাব খাটায় সেজন্য দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে ওয়াশিংটন।
ইমরান খান বলেন, “২০ বছর ধরে সামরিক সমাধান খোঁজার পর তা না পেয়ে তাদের ফেলে যাওয়া জঞ্জালের নিষ্পত্তি করতেই কেবল পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়।”
আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার পর থেকে আগের চেয়ে আরও বেশি এলাকা দখল নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
কাবুল এবং বেশ কিছু পশ্চিমা সরকারের অভিযোগ, তালেবানদের পেছনে পাকিস্তানের সমর্থন থাকার কারণেই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তালেবানদের সহায়তার অভিযোগ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের দীর্ঘ দিনের তিক্ততার সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, আফগানিস্তানে কোনো পক্ষ নিচ্ছে না ইসলামাবাদ। “আমার মনে হয় আমেরিকানরা এখন ভারতকে কৌশলগত সঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি মনে করছি এ কারণেই পাকিস্তানের সঙ্গে এখন ভিন্ন আচরণ করা হচ্ছে” ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে কোনো রাজনৈতিক সমাধান বেশ কঠিন মনে হচ্ছে। তালেবান নেতারা পাকিস্তানে যাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে একটি বন্দোবস্তে পৌঁছার চেষ্টা করেছেন।
তালেবান নেতাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “তাদের শর্ত, যতদিন আশরাফ ঘানি (আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট) আছেন, আমরা (তালেবান) আফগান সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাব না।”
তালেবানরা আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত পুতুল সরকার মনে করে। যে কারণে গত সেপ্টেম্বরে কাবুলের আলোচকদের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনারও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আফগানিস্তানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের প্রতিনিধিরা দুই পক্ষকে আলোচনায় বসানোর শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তালেবানদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে আফগান বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ৩১ অগাস্টের পর এই সমর্থন থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইমরান খান জানান, ‘এটা অত্যন্ত পরিষ্কার’ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো সেনা ঘাঁটি চায় না পাকিস্তান।