ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আফগানিস্তানের যেকোনও শান্তিপূর্ণ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে ইরান: রাইসি

  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আফগানিস্তানের যেকোনও শান্তিপূর্ণ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে তার দেশ। গত সোমবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ-এর সঙ্গে এক ফোনালাপে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সবার জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন রাইসি।
ফোনালাপে আফগানিস্তানের ঘটনাবলী সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর। জবাবে রাইসি বলেন, সমসাময়িক ইতিহাস বলছে যে, আফগানিস্তানে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার পর থেকে দেশটি কখনও ভালো সময় পার করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশটির বিভিন্ন গোষ্ঠী মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে এবং পরস্পরের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেআইনি ও একতরফা নিষেধাজ্ঞার পরও আফগান শরণার্থীদের জন্য ইরান সব ধরনের খরচ নিজের কাঁধে নিয়েছে। দেশটিতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবেশী হিসেবে তেহরান নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে যেসব সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা পোষণ করে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তেহরান।
ফোনালাপে ইরান ও অস্ট্রিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা। ইব্রাহিম রাইসি বলেন, উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তেহরান ও ভিয়েনা অধিকতর লাভবান হতে পারে। এই সম্পর্ক যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সে ব্যাপারে নানামুখী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দেশটির শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইরানকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি ভিয়েনা ও তেহরানের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও গভীর করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে তার সফলতা কামনা করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

আফগানিস্তানের যেকোনও শান্তিপূর্ণ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে ইরান: রাইসি

আপডেট সময় : ১১:১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আফগানিস্তানের যেকোনও শান্তিপূর্ণ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে তার দেশ। গত সোমবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ-এর সঙ্গে এক ফোনালাপে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সবার জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন রাইসি।
ফোনালাপে আফগানিস্তানের ঘটনাবলী সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর। জবাবে রাইসি বলেন, সমসাময়িক ইতিহাস বলছে যে, আফগানিস্তানে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করার পর থেকে দেশটি কখনও ভালো সময় পার করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, দেশটির বিভিন্ন গোষ্ঠী মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করবে এবং পরস্পরের সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেআইনি ও একতরফা নিষেধাজ্ঞার পরও আফগান শরণার্থীদের জন্য ইরান সব ধরনের খরচ নিজের কাঁধে নিয়েছে। দেশটিতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবেশী হিসেবে তেহরান নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে যেসব সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা পোষণ করে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তেহরান।
ফোনালাপে ইরান ও অস্ট্রিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা। ইব্রাহিম রাইসি বলেন, উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়িয়ে তেহরান ও ভিয়েনা অধিকতর লাভবান হতে পারে। এই সম্পর্ক যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সে ব্যাপারে নানামুখী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দেশটির শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইরানকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি ভিয়েনা ও তেহরানের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও গভীর করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে ভিয়েনায় যে আলোচনা চলছে তার সফলতা কামনা করেন।