ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

আপিলে তিন দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৬৮ জন

  • আপডেট সময় : ০৩:২১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে তিন দিনে ১৬৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা। তৃতীয় দিনে ৯৮ জনের আপিল শুনানি হয়েছে। এতে ৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৩৫ জনের। আর দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫১ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান। ৪১ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। আর আটটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৯৪টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয় এবং ছয়টি আপিলের রায় পেন্ডিং রাখা হয়। আর চারটি আপিলের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের আপিল শুনানিতে মোট ১৬৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। এদের বেশির ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

অর্ধবেলায় ৬০ শুনানি
এদিকে প্রার্থীদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে তৃতীয় দিনের মতো আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় সকাল ১০টায়। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে অর্ধবেলায় ৬০ জনের শুনানি হয়েছে। শুনানিতে যাদের মনোনয়ন বৈধ হলো, তারা হলেন, কুমিল্লা-১ আসনের ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বশির উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ, যশোর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন সুলতানার মনোনয়ন বৈধ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনির মনোনয়ন বৈধ, , গোপালগঞ্জ-২ আসনের জাসদ প্রার্থী মো. ফুলমিয়া মোল্লার মনোনয়ন বৈধ, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ, রংপুর-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ, কুমিল্লা-১১ এর গণফোরামের প্রার্থী আব্দুল রহমান জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বৈধ, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুম ইকবাল, নোয়াখালী-২ আসনের কল্যান পার্টির প্রার্থী সরোয়ার আলম, ঝালকাঠি-১আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ, নোয়াখালী-২ এর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন, সিলেট-৩ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এহতেশামুল হক, কুমিল্লা-২ এর , বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী জেড আই রাসেল, সিলেট-২ এর বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. জহির, সিলেট-৪ এর তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন, সিলেট-৩ ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলাম, নোয়াখালী-৩ এর জাসদ প্রার্থী জয়নাল আবদীন, কুমিল্লা-১০ এর বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম অহিদুর রহমান, লালমনিরহাট-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমা খাতুন, খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী, নীলফামারী-১ এর স্বতন্ত্র ইমরান কবির চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ এর স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, ফরিদপুর-৩ এর স্বতন্ত্র গোলাম রাব্বানী খান, ঢাকা-১৯ এর জাতীয় পার্টির মো.আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-৭ এর জাসদ প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস বেপারি, নরসিংদী-৫ আসনের বিএনএফ এর প্রার্থী মো.বিটু মিয়া, নরসিংদী-৩ এর গণফোরাম মাহফুজুর রহমান, ফেনি-১ এর জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার ইকবাল, রাজশাহী-৫ এর স্বতন্ত্র মো.ওবায়দুল রহমান, নোয়াখালী-৬ এর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুশফিকুর রহমান, ঢাকা-১৮ আসনের তৃণমূলের প্রার্থী মফিজুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে শুনানিতে।
শুনানিতে যাদের মনোয়ন অবৈধ হয়েছে তারা হলেন, ভোলা-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মেজবাউল আলম, খুলনা-৫ এর বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের এস এম এ জলিল, চাঁদপুর-৫ এর জাসদ প্রার্থী মনির হোসেন মজুমদার, কক্সবাজার-৪ এরস্বতন্ত্র মো. ইসহাক, কুমিল্লা-১১ এর স্বতন্ত্র এম তজিম উদ্দিন ভূইয়া, টাঙ্গাইল-৪ এর জাসদ প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা, বগুড়া-৭ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-৫ এর এনপিপি মো. শাহ আলম, খাগড়াছড়ি বাংলাদেশ কংগ্রেস এর হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম-১০ এর স্বতন্ত্র মোহাম্মদ মনজুর আলম, নোয়াখালী-৪ এর জাসদ এস এম রহিম উল্ল্যাহ, গাইবান্ধা-২ এর স্বতন্ত্র মো. সাজেদুর রহমান, খুলনা-৬ এর স্বতন্ত্র এস এম রাজু, গাইবান্ধা-২ এর স্বতন্ত্র মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ এর এনপিপির মো.শাহ আলম, লক্ষ্মীপুর-২ এর স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, ঢাকা-১৭ এর স্বতন্ত্র মাসুদ খান, চট্টগ্রাম-১০ এর স্বতন্ত্র ওসমান গণি, ঢাকা-১২ এর স্বতন্ত্র সাবিনা, রাজশাহী-৩ এর স্বতন্ত্র নিপু হোসেনের মনোনয়ন শুনানিতে অবৈধই রাখা হয়েছে। এছাড়া খুলনা-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী মনিরা সুলতানা, নওগাঁ-১ আসনের স্বতন্ত্র খালেকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির রেজাউর রশিদ খানের মনোনয়ন পেন্ডিং রাখা হয়েছে। শুনানিতে না মঞ্জুর হওয়া প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন। সেখানেও তারা তাদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই করবেন। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে। উল্লেখ্য, এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯ দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে দুই হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়ন। তার মধ্যে ৫৬১ জন প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আবেদন করেন। রবিবার থেকে শুরু হওয়া শুনানি চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ছয় দিন রোজ ১১০ জন করে প্রার্থীর আপিল শুনানি হবে নির্বাচন কমিশনে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আপিলে তিন দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৬৮ জন

আপডেট সময় : ০৩:২১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে তিন দিনে ১৬৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের শুনানি শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা। তৃতীয় দিনে ৯৮ জনের আপিল শুনানি হয়েছে। এতে ৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৩৫ জনের। আর দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৯৯ জনের আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫১ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান। ৪১ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। আর আটটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৯৪টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয় এবং ছয়টি আপিলের রায় পেন্ডিং রাখা হয়। আর চারটি আপিলের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের আপিল শুনানিতে মোট ১৬৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। এদের বেশির ভাগই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

অর্ধবেলায় ৬০ শুনানি
এদিকে প্রার্থীদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে তৃতীয় দিনের মতো আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় সকাল ১০টায়। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে অর্ধবেলায় ৬০ জনের শুনানি হয়েছে। শুনানিতে যাদের মনোনয়ন বৈধ হলো, তারা হলেন, কুমিল্লা-১ আসনের ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বশির উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ, যশোর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন সুলতানার মনোনয়ন বৈধ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনির মনোনয়ন বৈধ, , গোপালগঞ্জ-২ আসনের জাসদ প্রার্থী মো. ফুলমিয়া মোল্লার মনোনয়ন বৈধ, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ, রংপুর-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ, কুমিল্লা-১১ এর গণফোরামের প্রার্থী আব্দুল রহমান জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বৈধ, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুম ইকবাল, নোয়াখালী-২ আসনের কল্যান পার্টির প্রার্থী সরোয়ার আলম, ঝালকাঠি-১আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ, নোয়াখালী-২ এর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন, সিলেট-৩ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এহতেশামুল হক, কুমিল্লা-২ এর , বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুস সালাম, ঢাকা-১৪ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী জেড আই রাসেল, সিলেট-২ এর বাংলাদেশ কংগ্রেস এর প্রার্থী মো. জহির, সিলেট-৪ এর তৃণমূল বিএনপির আবুল হোসেন, সিলেট-৩ ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মইনুল ইসলাম, নোয়াখালী-৩ এর জাসদ প্রার্থী জয়নাল আবদীন, কুমিল্লা-১০ এর বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম অহিদুর রহমান, লালমনিরহাট-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমা খাতুন, খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী, নীলফামারী-১ এর স্বতন্ত্র ইমরান কবির চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ এর স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, ফরিদপুর-৩ এর স্বতন্ত্র গোলাম রাব্বানী খান, ঢাকা-১৯ এর জাতীয় পার্টির মো.আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-৭ এর জাসদ প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস বেপারি, নরসিংদী-৫ আসনের বিএনএফ এর প্রার্থী মো.বিটু মিয়া, নরসিংদী-৩ এর গণফোরাম মাহফুজুর রহমান, ফেনি-১ এর জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার ইকবাল, রাজশাহী-৫ এর স্বতন্ত্র মো.ওবায়দুল রহমান, নোয়াখালী-৬ এর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুশফিকুর রহমান, ঢাকা-১৮ আসনের তৃণমূলের প্রার্থী মফিজুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে শুনানিতে।
শুনানিতে যাদের মনোয়ন অবৈধ হয়েছে তারা হলেন, ভোলা-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মেজবাউল আলম, খুলনা-৫ এর বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের এস এম এ জলিল, চাঁদপুর-৫ এর জাসদ প্রার্থী মনির হোসেন মজুমদার, কক্সবাজার-৪ এরস্বতন্ত্র মো. ইসহাক, কুমিল্লা-১১ এর স্বতন্ত্র এম তজিম উদ্দিন ভূইয়া, টাঙ্গাইল-৪ এর জাসদ প্রার্থী এস এম আবু মোস্তফা, বগুড়া-৭ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-৫ এর এনপিপি মো. শাহ আলম, খাগড়াছড়ি বাংলাদেশ কংগ্রেস এর হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম-১০ এর স্বতন্ত্র মোহাম্মদ মনজুর আলম, নোয়াখালী-৪ এর জাসদ এস এম রহিম উল্ল্যাহ, গাইবান্ধা-২ এর স্বতন্ত্র মো. সাজেদুর রহমান, খুলনা-৬ এর স্বতন্ত্র এস এম রাজু, গাইবান্ধা-২ এর স্বতন্ত্র মো. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ এর এনপিপির মো.শাহ আলম, লক্ষ্মীপুর-২ এর স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলাম, ঢাকা-১৭ এর স্বতন্ত্র মাসুদ খান, চট্টগ্রাম-১০ এর স্বতন্ত্র ওসমান গণি, ঢাকা-১২ এর স্বতন্ত্র সাবিনা, রাজশাহী-৩ এর স্বতন্ত্র নিপু হোসেনের মনোনয়ন শুনানিতে অবৈধই রাখা হয়েছে। এছাড়া খুলনা-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী মনিরা সুলতানা, নওগাঁ-১ আসনের স্বতন্ত্র খালেকুজ্জামান ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির রেজাউর রশিদ খানের মনোনয়ন পেন্ডিং রাখা হয়েছে। শুনানিতে না মঞ্জুর হওয়া প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন। সেখানেও তারা তাদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই করবেন। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে। উল্লেখ্য, এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯ দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে দুই হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়ন। তার মধ্যে ৫৬১ জন প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আবেদন করেন। রবিবার থেকে শুরু হওয়া শুনানি চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ছয় দিন রোজ ১১০ জন করে প্রার্থীর আপিল শুনানি হবে নির্বাচন কমিশনে।