ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হয়ে সাবেক—বর্তমান খেলোয়াড় এমনকি আম সমর্থকরাও তাদের ফেবারিট তালিকার শর্ট লিস্টে রাখেননি অস্ট্রেলিয়ার নাম! বিশ্বকাপের পূর্বে অজিদের বাজে ফর্ম আর টানা হারের কারণেই হয়ত কেউ ভাবেনি অস্ট্রেলিয়া এবার কিছু করবে। নিদেন পক্ষে সেমিফাইনালে উঠবে! তবে, সেই অস্ট্রেলিয়াই গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। জিতেছে গ্রুপের ৫টি ম্যাচের ৪টিতেই। আগামী ১১ তারিখ পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে তাদের ফাইনালে ওঠার লড়াই। কিন্তু এমনকি ভাবছিলেন খোদ অস্ট্রেলিয়ান দলটির খেলোয়াড়রা? নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন! অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ জানালেন, খারাপ ফর্ম সত্ত্বেও পুরো দল ছিলো আত্মবিশ্বাসী। আর তাতেই তাদের এমন সাফল্য। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫টি করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলেছিলেন অজিরা। সেখানে তারা জিততে পেরেছিলেন মাত্র দুটি ম্যাচে। এমন পারফরম্যান্সে সমর্থকদের আশা হারানো স্বাভাবিকই! তবে বিশ্বাস ছিলো অস্ট্রেলিয়ানদের।
মার্শ জানালেন, ‘বিশ্বকাপের আগে যা ফর্ম ছিল তাতে অনেকের হয়ত মনে হয়েছে বাস্তবে আমরা প্রচ- সমস্যাতে পড়তে চলেছি। তবে আপনি যদি আমাদের স্কোয়াডের দিকে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন। আমাদের পূর্ণশক্তির দলে রয়েছে দারুণ অভিজ্ঞতা, যে সব এক্সাইটিং ক্রিকেটাররা রয়েছেন, রয়েছেন বিশ্বের একাধিক টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞরা, আর তাতে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা ভালো ফল করবই।’ নিজেদের পরবর্তী লক্ষ্যের কথা নির্ধারণ করতে গিয়ে মার্শ বলেছেন, ‘আমরা এখানে দল হিসেবে খেলতে এসেছি। আমাদের দলগত দৃঢ়তা দেখার মতো। পুরো বিশ্বকাপে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলে এখন ভালো আবহে (জয়ের) রয়েছে। সেমিফাইনালে আমরা যে ছন্দে খেলে প্রবেশ করেছি আশা করব সেটা ধরে ফাইনালে পৌঁছে যাব।’ সেমিফাইনালে বিশ্বকাপের অপরাজিত দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের প্রসঙ্গে মার্শ বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতা, গভীর বোলিং লাইন আপ নিয়ে পাকিস্তান কতটা মারাত্মক, তা সবাই জানেন। তাদের অলরাউন্ডারের দিকেও দুর্দান্ত। কিন্তু বলতে হবে, আমি মনে করি আমরাও কিন্তু একই (অভিজ্ঞ এবং অলরাউন্ডিং খেলোয়াড়ে সেরা)। আমাদেরও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা আছে, আমরাও ব্যাটিং—বোলিংয়ে গভীর, তাই এটি দারুণ একটি লড়াই হতে যাচ্ছে।’