ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের পুনর্বাসন দাবিতে অবস্থান

  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনসহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনসহ একাধিক দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে– আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিষয়ে সরকারের যেকোনও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট পরিবারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি; জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণ; নিহতদের স্মরণে দিবস ঘোষণা; আহতদের আজীবন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা; গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা দিতে আইন প্রণয়ন করা; এককালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া; আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বা আজীবন পুনর্বাসন; শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও চাকরি করতে সক্ষমদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত আমিনুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আমরা এখানে যারা উপস্থিত হয়েছি প্রত্যেকের পায়ে বেড়ি পড়ানো আছে, প্রত্যেকের হাতে ক্ষত। আমরা যুদ্ধ করেছি, সম্মুখসারিতে ছিলাম বলেই আমাদের গুলি লেগেছে, আহত হয়েছি। আমাদের ভাইরা শহীদ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে সরকারের ভেতরে থাকা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতো আওয়ামীপন্থিদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু লোক আমাদের আহত লীগ আখ্যা দিয়ে এই কর্মসূচিকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। আমরা বলতে চাই, আমাদের রক্তের বিনিময়ে এই সরকার। আমরা কোনও বিশৃঙ্খলায় যাইনি। আমরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করিনি। রাস্তাঘাট বন্ধ করিনি। আমরা এই সরকারেরই একটা অংশ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দিন এখন চলছে না। আমরা যারা আন্দোলন করেছি আমাদেরই শিশু এখন না খেয়ে থাকে, স্কুল-কলেজে যেতে পারে না।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের পুনর্বাসন দাবিতে অবস্থান

আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনসহ একাধিক দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে– আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিষয়ে সরকারের যেকোনও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট পরিবারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি; জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণ; নিহতদের স্মরণে দিবস ঘোষণা; আহতদের আজীবন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা; গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা দিতে আইন প্রণয়ন করা; এককালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া; আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বা আজীবন পুনর্বাসন; শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও চাকরি করতে সক্ষমদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত আমিনুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আমরা এখানে যারা উপস্থিত হয়েছি প্রত্যেকের পায়ে বেড়ি পড়ানো আছে, প্রত্যেকের হাতে ক্ষত। আমরা যুদ্ধ করেছি, সম্মুখসারিতে ছিলাম বলেই আমাদের গুলি লেগেছে, আহত হয়েছি। আমাদের ভাইরা শহীদ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে সরকারের ভেতরে থাকা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতো আওয়ামীপন্থিদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু লোক আমাদের আহত লীগ আখ্যা দিয়ে এই কর্মসূচিকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। আমরা বলতে চাই, আমাদের রক্তের বিনিময়ে এই সরকার। আমরা কোনও বিশৃঙ্খলায় যাইনি। আমরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করিনি। রাস্তাঘাট বন্ধ করিনি। আমরা এই সরকারেরই একটা অংশ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দিন এখন চলছে না। আমরা যারা আন্দোলন করেছি আমাদেরই শিশু এখন না খেয়ে থাকে, স্কুল-কলেজে যেতে পারে না।’