গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে তার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন।
গত ১৮ জুলাই সায়েন্সল্যাবে আহত হন ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা আহমেদ জীবন। বেসরকারি টিভি স্টেশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে আহত হওয়ার পর কিভাবে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোন পরিস্থিতিতে তিনি পড়েছিলেন। ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া আহমেদ জীবনের জীবন কাটছে এখন বিছানায় শুয়ে। এভাবে আরও সাত মাস কাটাতে হবে তাকে। তারপরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। আহমেদ জীবন বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাঝে কিছু জুনিয়র যারা ছিল… তাদের সেভ করতে গিয়ে আমি পড়ে যাই। পড়ে যাওয়ার পরে পুলিশ-ছাত্রলীগ- যুবলীগ লাথি মারতে থাকে। মাথা সেভ করতে গেলে তখন আমার পিঠে অনেক জোরে আঘাত করা হয়। এমআরআই রিপোর্টে বুঝতে পারি মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে গেছে। ১৮ জুলাই আহত হওয়ার পর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবন। সেখানে গ্রেপ্তার এড়াতে গোপন রাখতে হয় আহত হওয়ার কারণ। তিনি বলেন, ওখানে বলেছি বাসায় লাইট ছিল না, সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছি। ওখান থেকে যখন বের হবো তখন তারা আমাকে বের হতেও দিতে চাচ্ছিল না। কোথায় আহত হয়েছি, কেন আহত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমার কাপড় খুলে চেক করা হয় শরীরে কোথাও গুরুতর আঘাত আছে কি না… পুলিশের আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। গুলিবিদ্ধ কি না। এরকম হলে তারা আমাকে রিলিজ দেবে না প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া। এমনটাই জানায়।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ