অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: সোয়া দুই বছর দেশের আকাশে ওড়ার পর এবার আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চালাতে চাইছে নবীনতম উড়োজাহাজ কোম্পানি এয়ার অ্যাস্ট্রা। এজন্য চলতি বছর নাগাদ এয়ারবাস কোম্পানির তিন থেকে চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে এয়ারলাইনটি। ইতোমধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে ও ফেইসবুক পেজে এ-৩২০ অথবা এ-৩২১ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করেছে তারা। এয়ারবাস এ৩২০ ও এ৩২১ মডেল দুটি মধ্যম দূরত্বে ফ্লাইটের জন্য বেশ জনপ্রিয়। জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিচালনাগত স্বাচ্ছন্দের কারণে মডেল দুটিকে পছন্দের সারিতে রাখে বিভিন্ন এয়ারলাইন। জানতে চাইলে এয়ার অ্যাস্ট্রার জনসংযোগ শাখার উপ-ব্যবস্থাপক সাকিব হাসান শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এরইমধ্যে অভ্যন্তরীণ উপায়ে এয়ারক্রাফট প্রকিউরমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব আহ্বান করেছি। আমরা এয়ারবাসের এয়ারক্রাফট কিনতে বা লিজ নিতে চাই।” ২০২৪ সালের শুরুতে নেপালের কাঠমান্ডু বা পোখারাতে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহের কথা জানিয়েছিল এয়ার অ্যাস্ট্রা।
তবে এখন পর্যন্ত তাদের সেবা দেশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাকিব হাসান শুভ বলেন, “প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বর্তমানে বহরে থাকা এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে আমরা নেপালে ফ্লাইট শুরু করব। কিন্তু বেশ কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে সেই পরিকল্পনা থেকে আমরা সরে এসেছি।” এখন নতুন করে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে চলার যে উদ্যোগ নিয়েছে এয়ার অ্যাস্ট্রা, তাতে তারা ইকোনমি কেবিনের উড়োজাহাজ রাখতে চায়। তবে দুই শ্রেণিওয়ালা উড়োজাহাজ হলেও বহরে যোগ করতে তাদের আপত্তি নেই। কোম্পানিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহীদের অবশ্যই চলতি বছর নাগাদ উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে হবে। সরবরাহের সময় যানের বয়স ১৫ বছরের কম হতে হবে। প্রাথমিকভাবে কোন গন্তব্যে উড়তে চায় এয়ার অ্যাস্ট্রা? এ প্রশ্নের উত্তরে এয়ার অ্যাস্ট্রার জনসংযোগ কর্মকর্তা শুভ বলেন, “এয়ারক্রাফটের বন্দোবস্ত হলে আমরা থাইল্যান্ডের পুকেট, মালয়েশিয়ার জহুর বাহরু, নেপালের কাঠমান্ডু বা পোখারাও আমরা অপশনে রাখব।” কবে নাগাদ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে, তার উত্তরে শুভ বলেন, “এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। তবে, আমরা চাইব ২০২৫ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাতে।” ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে এয়ার অ্যাস্ট্রার যাত্রা করে। বর্তমানে এয়ারলাইনটির বহরে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।