ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বন্যার খবর

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ প্রচার করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ‘বাংলাদেশে বন্যাকবলিত ৩০ লাখ মানুষ, নিহত ২’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে রয়টার্স বলছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানির স্তর আরও বেড়ে বাস্তুচ্যুতি হতে পারে। তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি হওয়া নদীর পানিতে বুধবার পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত। ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সংযোগকারী সড়ক-মহাসড়ক বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার খবর প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বন্যার খবর বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছে। ভারত বলছে, ভাটির বড় বড় জলাভূমির পানির কারণে প্রতিবেশী দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও এপি, বন্যায় বাংলাদেশ ও ভারতের ১৫ জনের মৃত্যুসহ বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় আটকা পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ৷ উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বুধবার থেকে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং সহস্র মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া উজানে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অভিন্ন নদী ভাগাভাগি করায় বাংলাদেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বন্যার খবর

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ প্রচার করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যম। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ‘বাংলাদেশে বন্যাকবলিত ৩০ লাখ মানুষ, নিহত ২’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে রয়টার্স বলছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানির স্তর আরও বেড়ে বাস্তুচ্যুতি হতে পারে। তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি হওয়া নদীর পানিতে বুধবার পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত। ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সংযোগকারী সড়ক-মহাসড়ক বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার খবর প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বন্যার খবর বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছে। ভারত বলছে, ভাটির বড় বড় জলাভূমির পানির কারণে প্রতিবেশী দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও এপি, বন্যায় বাংলাদেশ ও ভারতের ১৫ জনের মৃত্যুসহ বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় আটকা পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ৷ উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বুধবার থেকে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং সহস্র মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া উজানে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অভিন্ন নদী ভাগাভাগি করায় বাংলাদেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।