ক্রীড়া ডেস্ক : বিগ ব্যাশ ও নিউজিল্যান্ড জাতীয় দল—এই দুইয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হতো কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার বেছে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশকেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই পেস অলরাউন্ডার। অবসর নেওয়া নিয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বিবৃতি প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। তিন সংস্করণে দেশের হয়ে প্রচুর খেলা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা, চোট—এসব কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন গ্র্যান্ডহোম, ‘মানতে হবে আমি আগের মতো তরুণ নই। অনেক চোট থাকায় অনুশীলনও দিন দিন আমার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে এবং আমার পরিবার বেড়ে উঠছে, ক্রিকেট ছাড়ার পর ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাও তো বুঝতে হবে। শেষ কিছু সপ্তাহে এসব বিষয়ে আমি অনেক চিন্তা করেছি। আমি আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে গর্বিত। আমি মনে করি, আমার এখনই বিদায় নেওয়ার সময়।’ কয়েক দিন আগেই বিগ ব্যাশে ডাক পাওয়ার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের নিউজিল্যান্ড ক্যারিয়ার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা অবস্থায় এ মুহূর্তে বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতি ছিল না গ্র্যান্ডহোমের। বিগ ব্যাশের ড্রাফটে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স দলে টেনেছিল তাঁকে। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর মাঠ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল এনজেডসির কেন্দ্রীয় চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারকে জাতীয় দল ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা আছে নিউজিল্যান্ডের। এ ছাড়া সাধারণত জানুয়ারিতে হয় নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ সুপার স্ম্যাশ। চুক্তি অনুযায়ী, ফিট থাকলে দুটির জন্যই গ্র্যান্ডহোমকে বিবেচনা করার কথা। ওই সময়ের মধ্যেই হতে যাওয়া বিগ ব্যাশে তাই খেলার সুযোগ ছিল না গ্র্যান্ডহোমের।