নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে কার্যরত এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করে এখন থেকে এয়ার টিকিট কেনা যাবে। প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নিশ্চিত করা এবং যাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এই নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক কার্ড দিয়ে এতদিন বিদেশি কেনাকাটার অনুমতি ছিল। তবে ডিজিটাল সেটেলমেন্ট সুবিধার ঘাটতির কারণে অনেক যাত্রী দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতামূলক দামে এয়ার টিকিট কিনতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। নতুন নীতিমালার মাধ্যমে বাজার সীমাবদ্ধতা দূর করবে।
সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, প্রযোজ্য ভিসাধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন থেকে বাংলাদেশে কার্যরত এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করে বিদেশগামী বিমান টিকিট কিনতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ ঢাকা–সিঙ্গাপুর অথবা ঢাকা–দুবাই রুটের ফ্লাইট উল্লেখ করা যেতে পারে।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সঠিক চ্যানেলিংয়ের জন্য সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সকল টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ দেশের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট আয় আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রা আয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত বরাদ্দের আওতায় ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক কার্ডে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সমপরিমাণ অর্থ পুনরায় রিফিল বা পুনঃভরন করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট এডি ব্যাংক টিকিট বিক্রির অর্থ সম্পূর্ণরূপে দেশে জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরেই রিফিল করা যাবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ এডি ব্যাংকে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করা যাবে। এই হিসেবে জামাকৃত অর্থ ব্যয়াতিরিক্ত আয় হিসেবে বিদেশি এয়ারলাইনস তাদের প্যারেন্ট অফিসে পাঠাতে পারবে।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের এভিয়েশন টিকিটিং ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে, দেশীয় ও বিদেশি টিকিট মূল্যের বৈষম্য কমাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন তদারকি আরও দৃঢ় হবে।
ওআ/আপ্র/১৯/১১/২০২৫




















