ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

আধিপত্যের দ্বন্দ্বে খুন হন যুবলীগ কর্মী রুবেল, গ্রেপ্তার ১০

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গতকাল রোববার আলাদা সংবাদ সম্মেলনে এ দুই বাহিনীই বলেছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা রুবেলকে। এই দশজনের মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- হাবিব আহসান, আলিফ হোসাইন, রবিউল সানি, মেহেদী হাসান, মো. শাহজালাল, রফিকুল ইসলাম, নুর আলম ও সুমন মীর। আর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আদনান আসিফ ও মো. শাকিল। গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি র‌্যাব বা গোয়েন্দা পুলিশের সংবাদসম্মেলনে। গত ২১ জুলাই মধ্যরাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলবাগে বাসায় ফেরার পথে ৩৬ বছর বয়সী রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রুবেল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে দুইজনকে গ্রেপ্তারের খবর দেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, রুবেল এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন। ইদানিং তিনি পানির ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
“এলাকার আধিপত্য নিয়ে তার সঙ্গে শাহজালালের বিরোধ চলছিল। উচিত শিক্ষা দিতে যুবলীগ নেতা রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহজালাল।”
এদিকে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, “রুবেলের সঙ্গে স্থানীয় নিবিড় ও শাহজালালের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরে নিবিড় ও শাহজালাল দুজন মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিবের সঙ্গে চুক্তি করে। “হাবিবকে চাপাতি কেনার ৪ হাজার টাকা দেয় নিবিড়। সেই টাকায় খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনে হাবিব। ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব দুজনে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করে।”
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ঘটনার দিন একজন মোটরসাইকেল নিয়ে রুবেলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। হাবিব, আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। মেহেদী হাসান ও সানি দুই পাশে পাহারায় থাকেন।
“রুবেল রিকশায় বাসার দিকে রওয়ানা দিলে হাবিরের কাছে খবর চলে আসে। রুবেলকে রিকশায় দেখেতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে ধাওয়া দিলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। হামলাকারীরাও পেছন পেছন দৌড়ে রুবেলকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন। “রুবেলের মাটিতে পড়ে গেলে হাবিব ও আলিফ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে যায়। পালানোর সময় তারা চাপাতি ফেলে দিয়ে যায় রাস্তার পাশে। পরে হাসপাতালে মারা যান রুবেল।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাবালক ছেলেকে বিমানবন্দরে ফেলেই ফ্লাইটে উঠে পড়লেন দম্পতি!

আধিপত্যের দ্বন্দ্বে খুন হন যুবলীগ কর্মী রুবেল, গ্রেপ্তার ১০

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গতকাল রোববার আলাদা সংবাদ সম্মেলনে এ দুই বাহিনীই বলেছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা রুবেলকে। এই দশজনের মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- হাবিব আহসান, আলিফ হোসাইন, রবিউল সানি, মেহেদী হাসান, মো. শাহজালাল, রফিকুল ইসলাম, নুর আলম ও সুমন মীর। আর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আদনান আসিফ ও মো. শাকিল। গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি র‌্যাব বা গোয়েন্দা পুলিশের সংবাদসম্মেলনে। গত ২১ জুলাই মধ্যরাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলবাগে বাসায় ফেরার পথে ৩৬ বছর বয়সী রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রুবেল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে দুইজনকে গ্রেপ্তারের খবর দেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, রুবেল এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন। ইদানিং তিনি পানির ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
“এলাকার আধিপত্য নিয়ে তার সঙ্গে শাহজালালের বিরোধ চলছিল। উচিত শিক্ষা দিতে যুবলীগ নেতা রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহজালাল।”
এদিকে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, “রুবেলের সঙ্গে স্থানীয় নিবিড় ও শাহজালালের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরে নিবিড় ও শাহজালাল দুজন মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিবের সঙ্গে চুক্তি করে। “হাবিবকে চাপাতি কেনার ৪ হাজার টাকা দেয় নিবিড়। সেই টাকায় খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনে হাবিব। ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব দুজনে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করে।”
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ঘটনার দিন একজন মোটরসাইকেল নিয়ে রুবেলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। হাবিব, আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। মেহেদী হাসান ও সানি দুই পাশে পাহারায় থাকেন।
“রুবেল রিকশায় বাসার দিকে রওয়ানা দিলে হাবিরের কাছে খবর চলে আসে। রুবেলকে রিকশায় দেখেতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে ধাওয়া দিলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। হামলাকারীরাও পেছন পেছন দৌড়ে রুবেলকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন। “রুবেলের মাটিতে পড়ে গেলে হাবিব ও আলিফ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে যায়। পালানোর সময় তারা চাপাতি ফেলে দিয়ে যায় রাস্তার পাশে। পরে হাসপাতালে মারা যান রুবেল।”