ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

আদা-রসুনের দামও বাড়ছে!

  • আপডেট সময় : ০২:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও। ফলে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে মসলার বাজার। অভিযোগ রয়েছে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে খুচরা ব্যবসায়ীরা আদা-রসুনের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজধানীর রামপুরা, তালতলা ও খিলগাঁও মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে আদা-রসুনের দাম ততটা বাড়েনি। শ্যামবাজারের বিক্রমপুর হাউজের স্বত্বাধিকারী খোকন হোসেন জানান, গত তিনদিনের ব্যবধানে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটা স্বাভাবিক অন্য সময়ের বাড়া-কমার মতো। কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে আদা-রসুনের ওপর। খুচরায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আদা-রসুনের বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বুধবার শ্যামবাজারে ভারতের আদা কেজিপ্রতি ৪০-৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা। এই দুই জাতের আদার দাম পাইকারিতে তেমন বাড়েনি। তিনদিন আগের তুলনায় ২-৫ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে পাইকারিতে দেশি রসুন ৩০-৪০ টাকা এবং চায়না রসুন ৮০-১০২ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। তবে এ দুই জাতের রসুনের দাম তিনদিনের ব্যবধানে বাড়েনি। অথচ রাজধানীর তিনটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেল সেখানে আদা-রসুন বিক্রি করা হচ্ছে বেশি দামে। এর মধ্যে খুচরায় প্রতিকেজি ভারতের আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়, আর চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা। যা তিনদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি। একইভাবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা দরে। চায়না রসুন ১২০-১৩০ টাকা। যা একই সময়ের ব্যবধানে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরায় দামের এই অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পরিবহন খরচ, পণ্যের ঘাটতি এবং বাছাই পণ্য বিক্রির কারণে দাম বেশি খুচরায়। তালতলা বাজারের বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারের দাম হিসাব করে আমাদের চলে না। তারা যে মাল বিক্রি করে, সেটা বাছাইয়ের পর মণে ৫-৭ কেজি ঘাটতি হয়। এছাড়া পরিবহন, দোকান খরচ মিলে এর থেকে কম দামে বিক্রি করা যায় না। খিলগাঁও বাজারের রশিদ মিঞা বলেন, বাজার যখন গরম যায়, সেটা সব পণ্যই যায়। এখন বাজার গরম। যে পারছে ৫-১০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। এদিকে চারদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকারের জোরালো মনিটরিং প্রয়োজন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার নাম বদলে হলো ঢাকা বাণিজ্যমেলা

আদা-রসুনের দামও বাড়ছে!

আপডেট সময় : ০২:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও। ফলে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে মসলার বাজার। অভিযোগ রয়েছে, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে খুচরা ব্যবসায়ীরা আদা-রসুনের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজধানীর রামপুরা, তালতলা ও খিলগাঁও মালিবাগ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে আদা-রসুনের দাম ততটা বাড়েনি। শ্যামবাজারের বিক্রমপুর হাউজের স্বত্বাধিকারী খোকন হোসেন জানান, গত তিনদিনের ব্যবধানে আদার দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটা স্বাভাবিক অন্য সময়ের বাড়া-কমার মতো। কিন্তু হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে আদা-রসুনের ওপর। খুচরায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আদা-রসুনের বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বুধবার শ্যামবাজারে ভারতের আদা কেজিপ্রতি ৪০-৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা। এই দুই জাতের আদার দাম পাইকারিতে তেমন বাড়েনি। তিনদিন আগের তুলনায় ২-৫ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে পাইকারিতে দেশি রসুন ৩০-৪০ টাকা এবং চায়না রসুন ৮০-১০২ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। তবে এ দুই জাতের রসুনের দাম তিনদিনের ব্যবধানে বাড়েনি। অথচ রাজধানীর তিনটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেল সেখানে আদা-রসুন বিক্রি করা হচ্ছে বেশি দামে। এর মধ্যে খুচরায় প্রতিকেজি ভারতের আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়, আর চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা। যা তিনদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি। একইভাবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা দরে। চায়না রসুন ১২০-১৩০ টাকা। যা একই সময়ের ব্যবধানে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরায় দামের এই অসামঞ্জস্যতার বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পরিবহন খরচ, পণ্যের ঘাটতি এবং বাছাই পণ্য বিক্রির কারণে দাম বেশি খুচরায়। তালতলা বাজারের বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারের দাম হিসাব করে আমাদের চলে না। তারা যে মাল বিক্রি করে, সেটা বাছাইয়ের পর মণে ৫-৭ কেজি ঘাটতি হয়। এছাড়া পরিবহন, দোকান খরচ মিলে এর থেকে কম দামে বিক্রি করা যায় না। খিলগাঁও বাজারের রশিদ মিঞা বলেন, বাজার যখন গরম যায়, সেটা সব পণ্যই যায়। এখন বাজার গরম। যে পারছে ৫-১০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। এদিকে চারদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকারের জোরালো মনিটরিং প্রয়োজন।