ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি উদ্ধার, আটক ১

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি (কেস ডকেট) গায়েবের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় ৯ বস্তা মামলার নথি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে হারিয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির গায়েবের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

তার স্বীকারোক্তি মতে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম আদালতের বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির খোঁজ না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া। আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়ের পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা।

পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান আইনজীবীরা। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে যায়।

“আমরা দুই ঘণ্টার জন্য শহীদ মিনারে ফিরে যাচ্ছি। কোনো আশ্বাস না পেলে আমরা দুই ঘণ্টা পর ফের শাহবাগ অবরোধ করব।”

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি উদ্ধার, আটক ১

আপডেট সময় : ০৮:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম আদালতের হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথি (কেস ডকেট) গায়েবের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

এ সময় ৯ বস্তা মামলার নথি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে হারিয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির গায়েবের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

তার স্বীকারোক্তি মতে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম আদালতের বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি নথির খোঁজ না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া। আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়ের পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণে মুখর থাকে আদালত ভবন। সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা।

পিপির কার্যালয়ের সামনে আদালতের বারান্দা থেকে ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান আইনজীবীরা। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে যায়।

“আমরা দুই ঘণ্টার জন্য শহীদ মিনারে ফিরে যাচ্ছি। কোনো আশ্বাস না পেলে আমরা দুই ঘণ্টা পর ফের শাহবাগ অবরোধ করব।”