ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

আদালতের নির্দেশ অমান্যে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করছেন জনৈক মাহমুদ ও তার লোকজন এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বাদীপক্ষ। গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, মমিনপাড়ার রফিক মিয়ার দুই স্ত্রী রসুলেন নেছা ও জরিনা বেগম। তিনটি দলিলের মাধ্যমে তিন দাগে মোট ৫৮ শতক জমি পাওয়ার কথা প্রথম স্ত্রী রসুলেন নেছার। তার নাতি শফিকুল ইসলাম। তিনি ও অন্যান্য ওয়ারিশরা জীবিকার প্রয়োজনে গাইবান্ধার বাইরে ছিলেন। তার পিতা মকসুদ আলম ও বড় ফুপু জয়নব বেগম মানবিক কারণে মোট জমির মধ্যে সোয়া ১৪ শতক জমিতে সোলেনামা ডিক্রির মাধ্যমে জরিনা বেগমের ওয়ারিশদের থাকতে দেন। সেই সোলেনামায় নাবালক ও অন্যান্য ওয়ারিশদের স্বাক্ষর নেই। বর্তমানে বিএনপির নামের প্রভাব দেখিয়ে জরিনার বেগমের বড় ছেলে মাহমুদ ও তার ভাইয়েরা বেশির ভাগ জায়গা দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে গত ১৫ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮৩/২৫ এমআর মামলা করা হয়। আদালত ১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী স্থীতিবান বজায় রাখার আর্দেশ প্রদান করেন আদালত।এরই প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে মারামারিতে লিপ্ত হন মাহমুদ তার লোকজন। তারা এক পর্যায়ে শফিকুলের ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাগিনা স্ত্রীর সুরভীর পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেন শহরের পুরাতন বাজারেও তাদের কিছু জায়গা ও দোকান রয়েছে। সেগুলোও অবৈধভাবে দখল করে আছেন মাহমুদের ছোট ভাই মাহফুজ। তিনি জামানত ও দোকান ভাড়ার টাকা তুলছেন নিয়মিত।

সংবাদ সম্মেলনে জয়নব বেগম, নারগিস বেগম, মঞ্জু বেগম, চুমকি বেগম, আফরিন বেগম ও নীরব উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আদালতের নির্দেশ অমান্যে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করছেন জনৈক মাহমুদ ও তার লোকজন এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বাদীপক্ষ। গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, মমিনপাড়ার রফিক মিয়ার দুই স্ত্রী রসুলেন নেছা ও জরিনা বেগম। তিনটি দলিলের মাধ্যমে তিন দাগে মোট ৫৮ শতক জমি পাওয়ার কথা প্রথম স্ত্রী রসুলেন নেছার। তার নাতি শফিকুল ইসলাম। তিনি ও অন্যান্য ওয়ারিশরা জীবিকার প্রয়োজনে গাইবান্ধার বাইরে ছিলেন। তার পিতা মকসুদ আলম ও বড় ফুপু জয়নব বেগম মানবিক কারণে মোট জমির মধ্যে সোয়া ১৪ শতক জমিতে সোলেনামা ডিক্রির মাধ্যমে জরিনা বেগমের ওয়ারিশদের থাকতে দেন। সেই সোলেনামায় নাবালক ও অন্যান্য ওয়ারিশদের স্বাক্ষর নেই। বর্তমানে বিএনপির নামের প্রভাব দেখিয়ে জরিনার বেগমের বড় ছেলে মাহমুদ ও তার ভাইয়েরা বেশির ভাগ জায়গা দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে গত ১৫ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮৩/২৫ এমআর মামলা করা হয়। আদালত ১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী স্থীতিবান বজায় রাখার আর্দেশ প্রদান করেন আদালত।এরই প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নোটিশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে মারামারিতে লিপ্ত হন মাহমুদ তার লোকজন। তারা এক পর্যায়ে শফিকুলের ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাগিনা স্ত্রীর সুরভীর পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেন শহরের পুরাতন বাজারেও তাদের কিছু জায়গা ও দোকান রয়েছে। সেগুলোও অবৈধভাবে দখল করে আছেন মাহমুদের ছোট ভাই মাহফুজ। তিনি জামানত ও দোকান ভাড়ার টাকা তুলছেন নিয়মিত।

সংবাদ সম্মেলনে জয়নব বেগম, নারগিস বেগম, মঞ্জু বেগম, চুমকি বেগম, আফরিন বেগম ও নীরব উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ