ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

আদালতের নির্দেশনায় দাম বাড়ানো হলো ২৪ ধরনের ওষুধের

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেরার স্যালাইনসহ কয়েক ধরনের ওষুধের দাম বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড। অবশেষে আদালতের নির্দেশনায় কোম্পানিটির ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আশরাফ হোসেন এসব তথ্য জানান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওষুধের দাম নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওষুধের দাম বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন। সভা থেকে জানানো হয়— বর্তমানে ডলার সংকট, কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে নিজেদের ওষুধের দাম বৃদ্ধি বিবেচনা করে এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের ওষুধের দাম বিবেচনা করার নির্দেশনায় ‘নাম মাত্র’ দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে এসব ওষুধ আর কেউ উৎপাদন করে না। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৫০টিরও কম জেনেরিক ব্র্যান্ডের ২৭ হাজারের বেশি ওষুধ তৈরি হয়। এর মধ্যে মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে বাকি ওষুধের দাম ওষুধ কোম্পানিগুলোই নির্ধারণ করে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড এসব ওষুধ প্রস্তুত করে। তারা ওষুধের দাম বৃদ্ধির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে তাদের আবেদনটা বিবেচনায় নিতে। কোম্পানির পক্ষ থেকে আরও বেশি মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছিল। জনসাধারণের কথা চিন্তা করে ৫ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ ওষুধগুলোর দাম ১৫ বছরেও বাড়েনি বলে যোগ করেন তিনি।
যেসব ওষুধের দাম বাড়লো : লিবরা কোম্পানির ৫০০ মিলির কলেরা স্যালাইনের দাম ৬১ থেকে বাড়িয়ে ৭২ টাকা করা হয়েছে। ১০০০ মিলির দাম ৮৮ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ টাকা করা হয়েছে। ২০০০ মিলির ১১৩ থেকে বাড়িয়ে ১২২ টাকা করা হয়েছে। ৫০০ মিলির হাটসম্যান সলিউশন ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা, ৯৫ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ১০৫ টাকা, ৫৫ টাকার ৫০০ মিলির হাটসম্যান প্লাস ৬৬ টাকা, ৭১ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ৮০ টাকা, দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (.০৯) সোডিয়াম ক্লোরাইডের দাম ছিল ৬৪ টাকা, তা এখন ৬৬ টাকা, ৭৪ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৮৯ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০০ টাকা, ১০২ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১১৫ টাকা, ১০ শতাংশের ৮০ টাকার ডেক্সট্রোজ ৯০ টাকা করা হয়েছে। ৯৮ টাকার ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৭০ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০৭ টাকা, ৬৬ টাকার ২৫ডেক্সট্রোজ ৭৫ টাকা, ৭৮ টাকার ২৫ডেক্সট্রোজ ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ৫ % ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৬৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৭২ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮৫ টাকা, ৮৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৯০ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ১০০ টাকা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আদালতের নির্দেশনায় দাম বাড়ানো হলো ২৪ ধরনের ওষুধের

আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেরার স্যালাইনসহ কয়েক ধরনের ওষুধের দাম বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড। অবশেষে আদালতের নির্দেশনায় কোম্পানিটির ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আশরাফ হোসেন এসব তথ্য জানান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওষুধের দাম নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওষুধের দাম বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন। সভা থেকে জানানো হয়— বর্তমানে ডলার সংকট, কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে নিজেদের ওষুধের দাম বৃদ্ধি বিবেচনা করে এ দাম সমন্বয় করা হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ২৪ ধরনের ওষুধের দাম প্রকারভেদে ৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের ওষুধের দাম বিবেচনা করার নির্দেশনায় ‘নাম মাত্র’ দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে এসব ওষুধ আর কেউ উৎপাদন করে না। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৫০টিরও কম জেনেরিক ব্র্যান্ডের ২৭ হাজারের বেশি ওষুধ তৈরি হয়। এর মধ্যে মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে বাকি ওষুধের দাম ওষুধ কোম্পানিগুলোই নির্ধারণ করে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড এসব ওষুধ প্রস্তুত করে। তারা ওষুধের দাম বৃদ্ধির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে তাদের আবেদনটা বিবেচনায় নিতে। কোম্পানির পক্ষ থেকে আরও বেশি মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছিল। জনসাধারণের কথা চিন্তা করে ৫ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ ওষুধগুলোর দাম ১৫ বছরেও বাড়েনি বলে যোগ করেন তিনি।
যেসব ওষুধের দাম বাড়লো : লিবরা কোম্পানির ৫০০ মিলির কলেরা স্যালাইনের দাম ৬১ থেকে বাড়িয়ে ৭২ টাকা করা হয়েছে। ১০০০ মিলির দাম ৮৮ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ টাকা করা হয়েছে। ২০০০ মিলির ১১৩ থেকে বাড়িয়ে ১২২ টাকা করা হয়েছে। ৫০০ মিলির হাটসম্যান সলিউশন ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা, ৯৫ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ১০৫ টাকা, ৫৫ টাকার ৫০০ মিলির হাটসম্যান প্লাস ৬৬ টাকা, ৭১ টাকার ১০০০ মিলির হাটসম্যান ৮০ টাকা, দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (.০৯) সোডিয়াম ক্লোরাইডের দাম ছিল ৬৪ টাকা, তা এখন ৬৬ টাকা, ৭৪ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৮৯ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০০ টাকা, ১০২ টাকার সোডিয়াম ক্লোরাইড ১১৫ টাকা, ১০ শতাংশের ৮০ টাকার ডেক্সট্রোজ ৯০ টাকা করা হয়েছে। ৯৮ টাকার ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৭০ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ৮০ টাকা, ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ক্লোরাইড ১০৭ টাকা, ৬৬ টাকার ২৫ডেক্সট্রোজ ৭৫ টাকা, ৭৮ টাকার ২৫ডেক্সট্রোজ ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ৫ % ডেক্সট্রোজ ১০৫ টাকা, ৬৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৭২ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮৫ টাকা, ৮৬ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৯০ টাকা, ৭৮ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ৮২ টাকা, ৯৩ টাকার ডেক্সট্রোজ প্লাস সোডিয়াম ১০০ টাকা করা হয়েছে।