ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

আদার দাম কমলো ১০০ টাকা

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

হিলি সংবাদদাতা : চাহিদা তুঙ্গে থাকায় ঈদের আগে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল আদার দাম। তবে ঈদ যেতে না যেতেই কমতে শুরু করেছে এর দাম। চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি করা আদার দাম কেজিতে কমেছে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল সোমবার সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় আদা না থাকায় সব দোকানেই আমদানি করা ভারতীয় আদা রয়েছে। তবে ঈদের আগের তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে প্রতি কেজি আদা প্রকারভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। হিলি বাজারে আদা কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে ২০০ টাকার আদার দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬০ টাকা হয়ে যায়। বাড়তি দামের কারণে যতটুকু দরকার ছিল তার চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ কিনে সংসারের চাহিদা মেটাতে হয়েছিল। ঈদের পরে দাম কমতে শুরু করেছে বর্তমানে ২৬০ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, দেশীয় আদার সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই আমদানি করা ভারতীয় আদা দিয়েই বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদার আমদানি অব্যাহত থাকায় সরবরাহ যেমন ভালো ছিল তেমনি দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু একমাস আগে থেকেই ভারতে পণ্যের দাম বাড়তি ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আমদানি করা পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। আগে আদা ১৬০ টাকা দরে কিনলেও সেটি বেড়ে ২০০ টাকায় উঠে যায় ঈদের একমাস আগেই। কিন্তু ঈদুল আজহায় ১৪ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা আট দিন হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এতে দেশের বাজারে আদার চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কম ছিল। যার কারণে দাম বেড়ে পাইকারিতে ২৬০ টাকায় উঠে যায়। তিনি বলেন, ঈদের পর ২২ জুন থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি শুরু হয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা যেমন এখন খানিকটা কম দামে কিনতে পারছি বিধায় কম দামেই বিক্রি করতে পারছি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আদার দাম কমলো ১০০ টাকা

আপডেট সময় : ১২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

হিলি সংবাদদাতা : চাহিদা তুঙ্গে থাকায় ঈদের আগে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল আদার দাম। তবে ঈদ যেতে না যেতেই কমতে শুরু করেছে এর দাম। চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি করা আদার দাম কেজিতে কমেছে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল সোমবার সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় আদা না থাকায় সব দোকানেই আমদানি করা ভারতীয় আদা রয়েছে। তবে ঈদের আগের তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ঈদের আগে প্রতি কেজি আদা প্রকারভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। হিলি বাজারে আদা কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে ২০০ টাকার আদার দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬০ টাকা হয়ে যায়। বাড়তি দামের কারণে যতটুকু দরকার ছিল তার চেয়ে অর্ধেক পরিমাণ কিনে সংসারের চাহিদা মেটাতে হয়েছিল। ঈদের পরে দাম কমতে শুরু করেছে বর্তমানে ২৬০ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, দেশীয় আদার সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই আমদানি করা ভারতীয় আদা দিয়েই বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদার আমদানি অব্যাহত থাকায় সরবরাহ যেমন ভালো ছিল তেমনি দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু একমাস আগে থেকেই ভারতে পণ্যের দাম বাড়তি ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আমদানি করা পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। আগে আদা ১৬০ টাকা দরে কিনলেও সেটি বেড়ে ২০০ টাকায় উঠে যায় ঈদের একমাস আগেই। কিন্তু ঈদুল আজহায় ১৪ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা আট দিন হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এতে দেশের বাজারে আদার চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কম ছিল। যার কারণে দাম বেড়ে পাইকারিতে ২৬০ টাকায় উঠে যায়। তিনি বলেন, ঈদের পর ২২ জুন থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি শুরু হয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা যেমন এখন খানিকটা কম দামে কিনতে পারছি বিধায় কম দামেই বিক্রি করতে পারছি।