ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আদর্শগত পেশার নারীরা বেশি সাইবার হামলার শিকার: ভয়েস-এর জরিপ

  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে ভয়েস কার্যালয়ে ‘তথ্যবিনিময় সভায়’ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকতা কিংবা মানবাধিকারের মত ‘আদর্শগত’ পেশায় সম্পৃক্ত নারীদের তুলনামূলক বেশি সাইবার হামলার শিকার হওয়ার তথ্য দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ (ভয়েস)।

জরিপের ভিত্তিতে সংস্থাটি বলছে, সাইবার জগতের এসব সহিংসতা ভুক্তভোগী নারীদের বাস্তব জীবনেও ‘চরম’ প্রভাব ফেলছে।

রাজধানীর শ্যামলীতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভয়েস কার্যালয়ে ‘তথ্যবিনিময় সভায়’ মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী। জরিপের অংশ হিসেবে গত অক্টোবরের পরের ১৩টি ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়।

প্রভা চৌধুরী বলেন, “যেসব নারী কোনো আদর্শগত কাজে জড়িত, যেমন- সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী কিংবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ‘অসামান্য’ অবদান রাখছেন, তারা সাইবার হামলার শিকার বেশি হচ্ছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা নারীদের প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হয়রানিমূলক আচরণ দেখা গেছে, যা তাদের বাস্তব জীবনেও চরম প্রভাব ফেলেছে। তাই সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই অনলাইনে রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চা ও বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ থেকে বিরত আছেন।

সভায় জানানো হয়, সাইবার জগতে নারীদের হয়রানির সমাধানে পুলিশের যে ‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ রয়েছে, সাড়ে তিন বছরে (২০২৪ সালের মে পর্যন্ত) ৬০ হাজার ৮০৮ জন প্রতিকার চেয়েছেন।

ভুক্তভোগী নারীদের ৪১ শতাংশই ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস বা ‘ডক্সিংয়ের’ শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৮ শতাংশের ফেসবুক আইডি হ্যাক, ১৭ শতাংশকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল এবং ৯ শতাংশ নারীকে ‘ছদ্মবেশে’ হয়রানি করা হয়।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, সাইবার জগতে যৌন হয়রানি মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হল জনসচেতনতা। অনলাইন সহিংসতার বিভিন্ন ধরন, এর প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারাভিযান ও কর্মশালার আয়োজন করাটা জরুরি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইন-বিবেক অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশনা আইন উপদেষ্টার

আদর্শগত পেশার নারীরা বেশি সাইবার হামলার শিকার: ভয়েস-এর জরিপ

আপডেট সময় : ০৮:২৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকতা কিংবা মানবাধিকারের মত ‘আদর্শগত’ পেশায় সম্পৃক্ত নারীদের তুলনামূলক বেশি সাইবার হামলার শিকার হওয়ার তথ্য দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ (ভয়েস)।

জরিপের ভিত্তিতে সংস্থাটি বলছে, সাইবার জগতের এসব সহিংসতা ভুক্তভোগী নারীদের বাস্তব জীবনেও ‘চরম’ প্রভাব ফেলছে।

রাজধানীর শ্যামলীতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভয়েস কার্যালয়ে ‘তথ্যবিনিময় সভায়’ মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী। জরিপের অংশ হিসেবে গত অক্টোবরের পরের ১৩টি ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়।

প্রভা চৌধুরী বলেন, “যেসব নারী কোনো আদর্শগত কাজে জড়িত, যেমন- সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী কিংবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ‘অসামান্য’ অবদান রাখছেন, তারা সাইবার হামলার শিকার বেশি হচ্ছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা নারীদের প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হয়রানিমূলক আচরণ দেখা গেছে, যা তাদের বাস্তব জীবনেও চরম প্রভাব ফেলেছে। তাই সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই অনলাইনে রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চা ও বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ থেকে বিরত আছেন।

সভায় জানানো হয়, সাইবার জগতে নারীদের হয়রানির সমাধানে পুলিশের যে ‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ রয়েছে, সাড়ে তিন বছরে (২০২৪ সালের মে পর্যন্ত) ৬০ হাজার ৮০৮ জন প্রতিকার চেয়েছেন।

ভুক্তভোগী নারীদের ৪১ শতাংশই ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস বা ‘ডক্সিংয়ের’ শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৮ শতাংশের ফেসবুক আইডি হ্যাক, ১৭ শতাংশকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল এবং ৯ শতাংশ নারীকে ‘ছদ্মবেশে’ হয়রানি করা হয়।

ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, সাইবার জগতে যৌন হয়রানি মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হল জনসচেতনতা। অনলাইন সহিংসতার বিভিন্ন ধরন, এর প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারাভিযান ও কর্মশালার আয়োজন করাটা জরুরি।