ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

আত্মহত্যা রুখতে শিক্ষার্থীদের শপথ

  • আপডেট সময় : ১০:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে শিক্ষার্থী ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করতে ‘বেঁচে থাকার শপথ’ নামে আত্মহত্যাবিরোধী প্রতীকী শপথ কর্মসূচি পালন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা এ শপথ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে শপথ পাঠ করান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান শান্তা তাওহীদা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রা করা হয়।
এতে শিক্ষার্থীরা ‘জীবন এতো তুচ্ছ নয়, আমরা আনবো সূর্যোদয়’, ‘আজকে যদি ছেড়ে দেই, কালকের গল্প লিখবে কে?’, ‘লেট’স টেইক আ স্টেপ টু স্টপ সুইসাইড’, ‘স্টপ জাজিং, আই অ্যাম কনফিডেন্ট টু লিভ’, ‘হাল ছাড়বো না সফল হবোই’, ‘ইউ অলওয়েজ ম্যাটার’, ‘আমি এ পৃথিবীতে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শন করেন।
সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২১ সালে সর্বমোট ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ। এরমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মহননকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ- ৬২ জন।
মহামারীকালে এক বছরে ১০১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
করোনাভাইরাসের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে বলে সমীক্ষার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সম্পর্কজনিত জটিলতার কারণে আত্মহত্যার সংখ্যা সর্বাধিক।
গত শনিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শান্তা তাওহীদা বলেন, “প্রতিটি মানুষেরই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মনের যতœ নেওয়ার বিকল্প নেই।
“এখানে উপস্থিত ৫০ জন তরুণ আজ যদি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়, তবে তার সঙ্গে সচেতন হবে ৫০টি পরিবার।“
আঁচল ফাউন্ডেশন ২০১৯ সাল থেকে মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস আমানুল্লাহ, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ, সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম, অপারেশনাল সেক্রেটারি জিনাতুল জাহরা ঐশী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আত্মহত্যা রুখতে শিক্ষার্থীদের শপথ

আপডেট সময় : ১০:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : হতাশামুক্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে শিক্ষার্থী ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করতে ‘বেঁচে থাকার শপথ’ নামে আত্মহত্যাবিরোধী প্রতীকী শপথ কর্মসূচি পালন করেছে একদল শিক্ষার্থী।
গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা এ শপথ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে শপথ পাঠ করান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান শান্তা তাওহীদা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রা করা হয়।
এতে শিক্ষার্থীরা ‘জীবন এতো তুচ্ছ নয়, আমরা আনবো সূর্যোদয়’, ‘আজকে যদি ছেড়ে দেই, কালকের গল্প লিখবে কে?’, ‘লেট’স টেইক আ স্টেপ টু স্টপ সুইসাইড’, ‘স্টপ জাজিং, আই অ্যাম কনফিডেন্ট টু লিভ’, ‘হাল ছাড়বো না সফল হবোই’, ‘ইউ অলওয়েজ ম্যাটার’, ‘আমি এ পৃথিবীতে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শন করেন।
সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২১ সালে সর্বমোট ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ। এরমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মহননকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ- ৬২ জন।
মহামারীকালে এক বছরে ১০১ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
করোনাভাইরাসের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপ বেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পিছনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে বলে সমীক্ষার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সম্পর্কজনিত জটিলতার কারণে আত্মহত্যার সংখ্যা সর্বাধিক।
গত শনিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শান্তা তাওহীদা বলেন, “প্রতিটি মানুষেরই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মনের যতœ নেওয়ার বিকল্প নেই।
“এখানে উপস্থিত ৫০ জন তরুণ আজ যদি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়, তবে তার সঙ্গে সচেতন হবে ৫০টি পরিবার।“
আঁচল ফাউন্ডেশন ২০১৯ সাল থেকে মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস আমানুল্লাহ, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ, সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার সিয়াম, অপারেশনাল সেক্রেটারি জিনাতুল জাহরা ঐশী প্রমুখ বক্তব্য দেন।