ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

আত্মঘাতী হতে চাওয়া এক স্কুলছাত্রীর সফলতার গল্প

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : প্রত্যেকের জীবনে যেকোন সময় আসতে পারে খারাপ সময় আর সেই খারাপ সময় ধৈর্য ধারণ করে সঠিক ভাবে চলতে পারলে তার সফলতা নিশ্চিত। তার বাস্তব প্রমাণ দেখালেন গ্রীসমা।
জীবনে হঠকারি সিদ্ধান্ত কেবল অন্ধকার ডেকে আনে। আবার পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই একটা সোনালি দিনও উপহার দিতে পারে। সেটা কৈশোরে বুঝতে না পেরে এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাওয়া যে কত বড় ভুল তা শিখিয়ে দিল স্কুলছাত্রী। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সে বসতে পারবেনা। একথা জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মেধাবী ছাত্রী গ্রীসমা।
কর্ণাটকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নবম শ্রেণিতে গ্রীসমা ৯৫ শতাংশ নম্বর পায়। কিন্তু পরীক্ষার ফি সময় মত জমা দিতে না পারায় এসএসএলসি পরীক্ষা সে দিতে পারবেনা বলে জানতে পারে। যা তাকে এতটাই মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত করে দেয় যে সে আত্মহত্যা করতেও যায়। কিন্তু সময়মত চিকিৎসা তার প্রাণ বাঁচিয়ে দেয়।
একথা জেনে তার বাড়িতে সরাসরি হাজির হন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি গ্রীসমাকে এসএসএলসি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেন।
সেই পরীক্ষায় ৫৩ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। ৬২৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল। যার মধ্যে গ্রীসমা ৫৯৯ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই সাফল্যের পর শিক্ষামন্ত্রী নিজে গ্রীসমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জুলাই মাসে যে মেয়েটা আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, সে অক্টোবরে মনে মনে হয়তো আক্ষেপ করছে এটা ভেবে যে সেদিন নিজেকে শেষ করে দিলে এই খুশির দিনটা তার দেখা হতনা। জীবন তাকে শিখিয়ে দিল জীবনে সব শেষ বলে কিছু হয়না। লড়াইটাই আসল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

আত্মঘাতী হতে চাওয়া এক স্কুলছাত্রীর সফলতার গল্প

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : প্রত্যেকের জীবনে যেকোন সময় আসতে পারে খারাপ সময় আর সেই খারাপ সময় ধৈর্য ধারণ করে সঠিক ভাবে চলতে পারলে তার সফলতা নিশ্চিত। তার বাস্তব প্রমাণ দেখালেন গ্রীসমা।
জীবনে হঠকারি সিদ্ধান্ত কেবল অন্ধকার ডেকে আনে। আবার পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই একটা সোনালি দিনও উপহার দিতে পারে। সেটা কৈশোরে বুঝতে না পেরে এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে যাওয়া যে কত বড় ভুল তা শিখিয়ে দিল স্কুলছাত্রী। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সে বসতে পারবেনা। একথা জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মেধাবী ছাত্রী গ্রীসমা।
কর্ণাটকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নবম শ্রেণিতে গ্রীসমা ৯৫ শতাংশ নম্বর পায়। কিন্তু পরীক্ষার ফি সময় মত জমা দিতে না পারায় এসএসএলসি পরীক্ষা সে দিতে পারবেনা বলে জানতে পারে। যা তাকে এতটাই মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত করে দেয় যে সে আত্মহত্যা করতেও যায়। কিন্তু সময়মত চিকিৎসা তার প্রাণ বাঁচিয়ে দেয়।
একথা জেনে তার বাড়িতে সরাসরি হাজির হন কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি গ্রীসমাকে এসএসএলসি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেন।
সেই পরীক্ষায় ৫৩ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। ৬২৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছিল। যার মধ্যে গ্রীসমা ৫৯৯ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই সাফল্যের পর শিক্ষামন্ত্রী নিজে গ্রীসমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জুলাই মাসে যে মেয়েটা আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, সে অক্টোবরে মনে মনে হয়তো আক্ষেপ করছে এটা ভেবে যে সেদিন নিজেকে শেষ করে দিলে এই খুশির দিনটা তার দেখা হতনা। জীবন তাকে শিখিয়ে দিল জীবনে সব শেষ বলে কিছু হয়না। লড়াইটাই আসল।