ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

আত্মঘাতী গোলের হ্যাটট্রিক!

  • আপডেট সময় : ১০:১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : হ্যাটট্রিক করা যেকোনো ফুটবলারের জন্যই আরাধ্য কিছু। সেটি যদি হয় ‘পারফেক্ট’ হ্যাটট্রিক, আনন্দটা হয়তো বেড়ে যায় আরও। তবে মিকেইলা মুর করেছেন এমন এক হ্যাটট্রিক, যেটি চান না কেউই। নিউ জিল্যান্ড নারী দলের এই ডিফেন্ডার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে তিনবার বল পাঠিয়েছেন নিজেদের জালেই! শিবিলিভস কাপের ম্যাচে রোববার তিক্ত এই অভিজ্ঞতা হয় মুরের। প্রথম ৩৬ মিনিটের মধ্যেই তিনটি আত্মঘাতী গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচটি তারা হারে ৫-০ ব্যবধানে। লিভারপুলের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী মুরের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫০তম ম্যাচ ছিল এটি। মাইলফলকের ম্যাচে পঞ্চম মিনিটেই প্রথম আত্মঘাতী গোলটি করেন তিনি। বাঁ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া স্মিথের ক্রস ছয় গজ বক্সে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ডান পা বাড়ান মুর, তার পায়ে লেগেই বল জালে জড়ায়। ৮২ সেকেন্ড পরই আবার আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এবার ডান দিক থেকে সোফিয়া হুয়ের্টার ক্রস ডি-বক্সে তার মাথায় লেগে জালে জড়ায়।
এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিনটি আত্মঘাতী গোল পেল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তারা দুইবার দুটি করে আত্মঘাতী গোল পেয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রদর্শনী ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে ও গত জুলাইয়ে অলিম্পিকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবে দিনটা মুরের জন্য ছিল চরম হতাশার। কঠিন সময়ে অবশ্য কোচ জিতকা ক্লিমকোভাকে পাশেই পাচ্ছেন তিনি। “অবশ্যই সে হতাশ, কিন্তু সে দারুণ একজন মানুষ ও খেলোয়াড়। সে এই দলের সদস্য। তার কঠিন এই সময়ে আমরা সবাই তার পাশে আছি।” যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ভ্লাতকো আন্দোনোভস্কি মনে করেন, তিনটি গোলই ডিফেন্ড করার জন্য সঠিক পজিশনে ছিলেন মুর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৭ বছর বয়সে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর থেকে প্রায় নিয়মিত মুর শুরুর একাদশে খেলছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের নিউ জিল্যান্ড দলে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অ্যাকিলিস চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৯ বিশ্বকাপে। ওই চোটে ১৫ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকার পর ২০২০ সালে তিনি যোগ দেন লিভারপুলে। এর আগে জার্মানিতে খেলেন কোলন ও ডুইসবুর্কের হয়ে

দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচটি তারা হারে ৫-০ ব্যবধানে। লিভারপুলের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী মুরের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫০তম ম্যাচ ছিল এটি। মাইলফলকের ম্যাচে পঞ্চম মিনিটেই প্রথম আত্মঘাতী গোলটি করেন তিনি। বাঁ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া স্মিথের ক্রস ছয় গজ বক্সে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ডান পা বাড়ান মুর, তার পায়ে লেগেই বল জালে জড়ায়। ৮২ সেকেন্ড পরই আবার আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এবার ডান দিক থেকে সোফিয়া হুয়ের্টার ক্রস ডি-বক্সে তার মাথায় লেগে জালে জড়ায়।
এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিনটি আত্মঘাতী গোল পেল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তারা দুইবার দুটি করে আত্মঘাতী গোল পেয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রদর্শনী ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে ও গত জুলাইয়ে অলিম্পিকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবে দিনটা মুরের জন্য ছিল চরম হতাশার। কঠিন সময়ে অবশ্য কোচ জিতকা ক্লিমকোভাকে পাশেই পাচ্ছেন তিনি। “অবশ্যই সে হতাশ, কিন্তু সে দারুণ একজন মানুষ ও খেলোয়াড়। সে এই দলের সদস্য। তার কঠিন এই সময়ে আমরা সবাই তার পাশে আছি।” যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ভ্লাতকো আন্দোনোভস্কি মনে করেন, তিনটি গোলই ডিফেন্ড করার জন্য সঠিক পজিশনে ছিলেন মুর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৭ বছর বয়সে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর থেকে প্রায় নিয়মিত মুর শুরুর একাদশে খেলছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের নিউ জিল্যান্ড দলে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অ্যাকিলিস চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৯ বিশ্বকাপে। ওই চোটে ১৫ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকার পর ২০২০ সালে তিনি যোগ দেন লিভারপুলে। এর আগে জার্মানিতে খেলেন কোলন ও ডুইসবুর্কের হয়ে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আত্মঘাতী গোলের হ্যাটট্রিক!

আপডেট সময় : ১০:১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : হ্যাটট্রিক করা যেকোনো ফুটবলারের জন্যই আরাধ্য কিছু। সেটি যদি হয় ‘পারফেক্ট’ হ্যাটট্রিক, আনন্দটা হয়তো বেড়ে যায় আরও। তবে মিকেইলা মুর করেছেন এমন এক হ্যাটট্রিক, যেটি চান না কেউই। নিউ জিল্যান্ড নারী দলের এই ডিফেন্ডার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে তিনবার বল পাঠিয়েছেন নিজেদের জালেই! শিবিলিভস কাপের ম্যাচে রোববার তিক্ত এই অভিজ্ঞতা হয় মুরের। প্রথম ৩৬ মিনিটের মধ্যেই তিনটি আত্মঘাতী গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচটি তারা হারে ৫-০ ব্যবধানে। লিভারপুলের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী মুরের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫০তম ম্যাচ ছিল এটি। মাইলফলকের ম্যাচে পঞ্চম মিনিটেই প্রথম আত্মঘাতী গোলটি করেন তিনি। বাঁ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া স্মিথের ক্রস ছয় গজ বক্সে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ডান পা বাড়ান মুর, তার পায়ে লেগেই বল জালে জড়ায়। ৮২ সেকেন্ড পরই আবার আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এবার ডান দিক থেকে সোফিয়া হুয়ের্টার ক্রস ডি-বক্সে তার মাথায় লেগে জালে জড়ায়।
এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিনটি আত্মঘাতী গোল পেল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তারা দুইবার দুটি করে আত্মঘাতী গোল পেয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রদর্শনী ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে ও গত জুলাইয়ে অলিম্পিকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবে দিনটা মুরের জন্য ছিল চরম হতাশার। কঠিন সময়ে অবশ্য কোচ জিতকা ক্লিমকোভাকে পাশেই পাচ্ছেন তিনি। “অবশ্যই সে হতাশ, কিন্তু সে দারুণ একজন মানুষ ও খেলোয়াড়। সে এই দলের সদস্য। তার কঠিন এই সময়ে আমরা সবাই তার পাশে আছি।” যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ভ্লাতকো আন্দোনোভস্কি মনে করেন, তিনটি গোলই ডিফেন্ড করার জন্য সঠিক পজিশনে ছিলেন মুর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৭ বছর বয়সে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর থেকে প্রায় নিয়মিত মুর শুরুর একাদশে খেলছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের নিউ জিল্যান্ড দলে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অ্যাকিলিস চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৯ বিশ্বকাপে। ওই চোটে ১৫ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকার পর ২০২০ সালে তিনি যোগ দেন লিভারপুলে। এর আগে জার্মানিতে খেলেন কোলন ও ডুইসবুর্কের হয়ে

দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে ম্যাচটি তারা হারে ৫-০ ব্যবধানে। লিভারপুলের হয়ে খেলা ২৫ বছর বয়সী মুরের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৫০তম ম্যাচ ছিল এটি। মাইলফলকের ম্যাচে পঞ্চম মিনিটেই প্রথম আত্মঘাতী গোলটি করেন তিনি। বাঁ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া স্মিথের ক্রস ছয় গজ বক্সে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় ডান পা বাড়ান মুর, তার পায়ে লেগেই বল জালে জড়ায়। ৮২ সেকেন্ড পরই আবার আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। এবার ডান দিক থেকে সোফিয়া হুয়ের্টার ক্রস ডি-বক্সে তার মাথায় লেগে জালে জড়ায়।
এই প্রথম কোনো ম্যাচে তিনটি আত্মঘাতী গোল পেল যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তারা দুইবার দুটি করে আত্মঘাতী গোল পেয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রদর্শনী ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে ও গত জুলাইয়ে অলিম্পিকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবে দিনটা মুরের জন্য ছিল চরম হতাশার। কঠিন সময়ে অবশ্য কোচ জিতকা ক্লিমকোভাকে পাশেই পাচ্ছেন তিনি। “অবশ্যই সে হতাশ, কিন্তু সে দারুণ একজন মানুষ ও খেলোয়াড়। সে এই দলের সদস্য। তার কঠিন এই সময়ে আমরা সবাই তার পাশে আছি।” যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ভ্লাতকো আন্দোনোভস্কি মনে করেন, তিনটি গোলই ডিফেন্ড করার জন্য সঠিক পজিশনে ছিলেন মুর। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৭ বছর বয়সে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর থেকে প্রায় নিয়মিত মুর শুরুর একাদশে খেলছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের নিউ জিল্যান্ড দলে ছিলেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অ্যাকিলিস চোটের কারণে খেলতে পারেননি ২০১৯ বিশ্বকাপে। ওই চোটে ১৫ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকার পর ২০২০ সালে তিনি যোগ দেন লিভারপুলে। এর আগে জার্মানিতে খেলেন কোলন ও ডুইসবুর্কের হয়ে।