ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

আতলেতিকোর মাঠে অবিশ্বাস্য জয়ে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: চার দিন আগের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হতাশা ভুলে বিরতির আগে গোটা ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোকে উল্লাসে ভাসালেন হুলিয়ান আলভারেস। বদলি নেমে আবারও বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেন আলেকসান্দার সরলথ। কাতালান দলটির সামনে তখন চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। এরপর, কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল তারা।

ছয় মিনিটের মধ্যে শোধ করল দুই গোল। যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষের জালে আরও দুবার বল পাঠিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল হান্সি ফ্লিকের দল। আতলেতিকোর মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয়ে রেয়াল মাদ্রিদকে টপকে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা। রবের্ত লেভানদোভস্কি ব্যবধান কমানোর পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তরেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা তরেস।

এই মৌসুমে আতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুবারের দেখায় ঘরের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। ৯৬তম মিনিটে আতলেতিকোর জয়সূচক গোলটি করেছিলেন সরলথ। আর গত মাসে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা। ৯৩তম মিনিটে আতলেতিকোকে ৪-৪ সমতায় ফেরান সেই সরলথ।

তৃতীয় দেখায় এবার নিজেরাই যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল ফ্লিকের দল। এই মাঠেই গত বুধবার রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ‘বল দুইবার স্পর্শের জন্য’ আলভারেসের গোল বাতিলের পর নাটকীয়ভাবে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় আতলেতিকো। সেই রেশ থাকতেই আরেকটি পরাজয়ের বেদনায় পুড়ল দিয়েগো সিমেওনের দল। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬০। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেল শিরোপাধারী রেয়াল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো। মাদ্রিদের দুই দল একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।

ম্যাচের শুরুর দিকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া দাপট দেখায় বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। দানি ওলমোকে বক্সের বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ইয়ামাল। ফিরতি পাস পেয়ে তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। চতুর্দশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। জুল কুন্দের ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড অনায়াসে ঠেকান আতলেতিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও মাঝে অনেকটা সময় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ পায়নি কেউ।

৪৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির পাস বক্সে পেয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারের কোনাকুনি শট ক্রসবারের ওপরের অংশে লাগে। পরের মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় আতলেতিকো। বাঁ দিক থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমান পাস দেন বক্সে, প্রথম স্পর্শে জুলিয়ানো সিমেওনে আবার পাস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে, প্রথম স্পর্শেই নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস। ৫০তম মিনিটে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৬০তম মিনিটে আলভারেসের বদলি নামার ১০ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সরলথ।

বাঁ দিক থেকে কনর গ্যালাঘারের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন নরওয়ের ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বিল্ডআপের সময় আতলেতিকোর মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের হাতে বল লাগায় হ্যান্ডবলের আবেদন করে বার্সেলোনা। তবে ভিএআরের সাহায্যে গোল বহাল রাখেন রেফারি। তাকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ডাগআউটে উত্তেজিত কোচ হান্সি ফ্লিক।
বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন সরলথ। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। প্রথম জন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এই মৌসুমে বদলি নেমে মোট ৮ গোল করলেন সরলথ, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সেই রেশ থাকতেই ৭২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইনিগো মার্তিনেসের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা।

এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা লেভানদোভস্কির গোল হলো ২২টি। ৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন তরেস। রাফিনিয়ার ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন ৬৭তম মিনিটে ওলমোর বদলি নামা এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট আতলেতিকোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে আতলেতিকোর এক খেলোয়াড় বল হারানোর পর বক্সের বাইরে থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরেস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা (১৫ জয় ও ৩ ড্র)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আতলেতিকোর মাঠে অবিশ্বাস্য জয়ে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: চার দিন আগের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হতাশা ভুলে বিরতির আগে গোটা ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোকে উল্লাসে ভাসালেন হুলিয়ান আলভারেস। বদলি নেমে আবারও বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেন আলেকসান্দার সরলথ। কাতালান দলটির সামনে তখন চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। এরপর, কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল তারা।

ছয় মিনিটের মধ্যে শোধ করল দুই গোল। যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষের জালে আরও দুবার বল পাঠিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল হান্সি ফ্লিকের দল। আতলেতিকোর মাঠে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বার্সেলোনা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয়ে রেয়াল মাদ্রিদকে টপকে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা। রবের্ত লেভানদোভস্কি ব্যবধান কমানোর পর বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তরেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন লামিনে ইয়ামাল। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা তরেস।

এই মৌসুমে আতলেতিকোর বিপক্ষে আগের দুবারের দেখায় ঘরের মাঠে জিততে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে লা লিগার ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। ৯৬তম মিনিটে আতলেতিকোর জয়সূচক গোলটি করেছিলেন সরলথ। আর গত মাসে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা। ৯৩তম মিনিটে আতলেতিকোকে ৪-৪ সমতায় ফেরান সেই সরলথ।

তৃতীয় দেখায় এবার নিজেরাই যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল ফ্লিকের দল। এই মাঠেই গত বুধবার রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ‘বল দুইবার স্পর্শের জন্য’ আলভারেসের গোল বাতিলের পর নাটকীয়ভাবে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় আতলেতিকো। সেই রেশ থাকতেই আরেকটি পরাজয়ের বেদনায় পুড়ল দিয়েগো সিমেওনের দল। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬০। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেল শিরোপাধারী রেয়াল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো। মাদ্রিদের দুই দল একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।

ম্যাচের শুরুর দিকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া দাপট দেখায় বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। দানি ওলমোকে বক্সের বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন ইয়ামাল। ফিরতি পাস পেয়ে তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গারের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। চতুর্দশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে বার্সেলোনার সামনে। জুল কুন্দের ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড অনায়াসে ঠেকান আতলেতিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও মাঝে অনেকটা সময় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ পায়নি কেউ।

৪৪তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। পেদ্রির পাস বক্সে পেয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারের কোনাকুনি শট ক্রসবারের ওপরের অংশে লাগে। পরের মিনিটে লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় আতলেতিকো। বাঁ দিক থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমান পাস দেন বক্সে, প্রথম স্পর্শে জুলিয়ানো সিমেওনে আবার পাস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে, প্রথম স্পর্শেই নিখুঁত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস। ৫০তম মিনিটে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের নিচু শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৬০তম মিনিটে আলভারেসের বদলি নামার ১০ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সরলথ।

বাঁ দিক থেকে কনর গ্যালাঘারের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন নরওয়ের ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বিল্ডআপের সময় আতলেতিকোর মিডফিল্ডার রদ্রিগো দে পলের হাতে বল লাগায় হ্যান্ডবলের আবেদন করে বার্সেলোনা। তবে ভিএআরের সাহায্যে গোল বহাল রাখেন রেফারি। তাকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, ডাগআউটে উত্তেজিত কোচ হান্সি ফ্লিক।
বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন সরলথ। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই স্বাদ পেলেন তিনি। প্রথম জন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এই মৌসুমে বদলি নেমে মোট ৮ গোল করলেন সরলথ, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সেই রেশ থাকতেই ৭২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইনিগো মার্তিনেসের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ৩৬ বছর বয়সী তারকা।

এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা লেভানদোভস্কির গোল হলো ২২টি। ৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন তরেস। রাফিনিয়ার ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোলটি করেন ৬৭তম মিনিটে ওলমোর বদলি নামা এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সেলোনাকে আরেকবার উল্লাসে ভাসিয়ে এগিয়ে নেন ইয়ামাল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট আতলেতিকোর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। আর যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে আতলেতিকোর এক খেলোয়াড় বল হারানোর পর বক্সের বাইরে থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরেস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা (১৫ জয় ও ৩ ড্র)।