ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আড়াই বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে এলো ৬০ টন পেঁয়াজ

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বেনাপোল প্রতিনিধি: আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এক সপ্তাহে তিনটি চালানে ৬০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে তৃতীয় চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই চালানটি আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে আমদানিকারক খালাস নেন। এর আগে ২৫ আগস্ট প্রথম চালানে ১৫ টন এবং বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে দ্বিতীয় চালানে ভারতীয় দু’টি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তিন চালানে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

এবার প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি মূল্য ৩০৫ ডলার দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারতও রফতানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলেন। এতে নিম্ন আয়ের মানুষকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছিল। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ওয়েল ট্রেডার্স ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনটি চালানে ৬০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

এসি/আপ্র/০২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আফগানিস্তানে ফের ভূমিকম্প, ক্ষয়ক্ষতি-মৃত্যু বৃদ্ধির শঙ্কা

আড়াই বছর পর বেনাপোল দিয়ে দেশে এলো ৬০ টন পেঁয়াজ

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেনাপোল প্রতিনিধি: আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এক সপ্তাহে তিনটি চালানে ৬০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে।

এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে গেছেন আমদানিকারকরা। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার দিকে তৃতীয় চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই চালানটি আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে আমদানিকারক খালাস নেন। এর আগে ২৫ আগস্ট প্রথম চালানে ১৫ টন এবং বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে দ্বিতীয় চালানে ভারতীয় দু’টি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তিন চালানে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

এবার প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি মূল্য ৩০৫ ডলার দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারতও রফতানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলেন। এতে নিম্ন আয়ের মানুষকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছিল। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ওয়েল ট্রেডার্স ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনটি চালানে ৬০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

এসি/আপ্র/০২/০৯/২০২৫