ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আজ রাতে বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি!

  • আপডেট সময় : ০১:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আকাশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! আজ রাত (২০-২১শে অক্টোবর) থেকেই শুরু হচ্ছে বছরের অন্যতম আকর্ষণীয় অরিওনিড উল্কাবৃষ্টির সর্বোচ্চ পর্যায়।

বাংলাদেশ থেকেও এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বিখ্যাত হ্যালির ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধূলিকণা থেকে সৃষ্ট এই আলোর খেলা এবার সম্পূর্ণ চাঁদহীন অন্ধকার আকাশে উপভোগ করা যাবে।

কখন ও কীভাবে দেখা যাবে:
যদিও আজ রাত থেকেই উল্কাবৃষ্টি শুরু হচ্ছে, তবে মূল সর্বোচ্চ পর্যায় থাকবে ২১ থেকে ২৩শে অক্টোবর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এই মহাজাতিক বিস্ময়। উল্কা দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হবে মাঝরাতের পর থেকে ভোরের ঠিক আগে পর্যন্ত। এই সময়ে অমাবস্যা থাকায় আকাশে চাঁদ থাকবে না। ফলে কোনো প্রাকৃতিক আলোর দূষণ ছাড়াই এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০টি পর্যন্ত উল্কা বা শুটিং স্টার দেখা যেতে পারে।

এই উল্কাগুলোকে কালপুরুষ মণ্ডল বা অরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত উজ্জ্বল লাল নক্ষত্র আর্দ্রা এর কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাবে। বাংলাদেশে এই নক্ষত্রমণ্ডলটি মাঝরাতের পর পূর্ব দিকে উদিত হয় এবং ভোরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে বেশ উঁচুতে অবস্থান করে।

দেখার জন্য টিপস:
উল্কাবৃষ্টি দেখার জন্য প্রথমে কোনো স্মার্টফোন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যাপের সাহায্যে আর্দ্রা নক্ষত্রটিকে খুঁজে বের করতে হবে। এরপর, ওই স্থান থেকে ৪০ ডিগ্রি উপরে, অর্থাৎ প্রায় মাথার ওপরের দিকে তাকাতে হবে।

শহরের আলো থেকে দূরে, অন্ধকার কোনো স্থানে গিয়ে আকাশের দিকে তাকালে ভালো দেখা যাবে। অন্ধকারে চোখ সইয়ে নিতে অন্তত ২০-৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে। এই সময়ে মোবাইলের আলো বা অন্য কোনো উজ্জ্বল আলো এড়িয়ে চলাই ভালো। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে প্রয়োজনে লাল আলোর টর্চ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কেন এই উল্কাবৃষ্টি?
এই উল্কাগুলো আসলে হ্যালির ধূমকেতুর খসে পড়া অংশ। পৃথিবী যখন তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে হ্যালির ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধূলিকণার মেঘের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই কণাগুলো সেকেন্ডে প্রায় ৬৬ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে। এটিই আমরা ‘তারা খসা’ বা উল্কাবৃষ্টি হিসেবে দেখি।

আমেরিকান মিটিওর সোসাইটির রবার্ট লুনসফোর্ড জানিয়েছেন, কেউ যদি ২১-২৩ অক্টোবরের মূল রাতটি মিস করেন, তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রামীণ অন্ধকার আকাশ থেকে ঘণ্টায় ১০টিরও বেশি উল্কা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এছাড়াও, বর্তমানে নর্দার্ন ও সাউদার্ন টরিড উল্কাবৃষ্টিও সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত আকাশে দর্শনীয় ‘ফায়ারবল’ বা অগ্নিগোলক দেখারও সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র স্পেস

এসি/আপ্র/২১/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত হওয়ার পর জুলাই সনদে সই করব: নাহিদ

আজ রাতে বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি!

আপডেট সময় : ০১:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আকাশপ্রেমীদের জন্য সুখবর! আজ রাত (২০-২১শে অক্টোবর) থেকেই শুরু হচ্ছে বছরের অন্যতম আকর্ষণীয় অরিওনিড উল্কাবৃষ্টির সর্বোচ্চ পর্যায়।

বাংলাদেশ থেকেও এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বিখ্যাত হ্যালির ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধূলিকণা থেকে সৃষ্ট এই আলোর খেলা এবার সম্পূর্ণ চাঁদহীন অন্ধকার আকাশে উপভোগ করা যাবে।

কখন ও কীভাবে দেখা যাবে:
যদিও আজ রাত থেকেই উল্কাবৃষ্টি শুরু হচ্ছে, তবে মূল সর্বোচ্চ পর্যায় থাকবে ২১ থেকে ২৩শে অক্টোবর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে এই মহাজাতিক বিস্ময়। উল্কা দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হবে মাঝরাতের পর থেকে ভোরের ঠিক আগে পর্যন্ত। এই সময়ে অমাবস্যা থাকায় আকাশে চাঁদ থাকবে না। ফলে কোনো প্রাকৃতিক আলোর দূষণ ছাড়াই এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০টি পর্যন্ত উল্কা বা শুটিং স্টার দেখা যেতে পারে।

এই উল্কাগুলোকে কালপুরুষ মণ্ডল বা অরিয়ন নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত উজ্জ্বল লাল নক্ষত্র আর্দ্রা এর কাছ থেকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাবে। বাংলাদেশে এই নক্ষত্রমণ্ডলটি মাঝরাতের পর পূর্ব দিকে উদিত হয় এবং ভোরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে বেশ উঁচুতে অবস্থান করে।

দেখার জন্য টিপস:
উল্কাবৃষ্টি দেখার জন্য প্রথমে কোনো স্মার্টফোন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যাপের সাহায্যে আর্দ্রা নক্ষত্রটিকে খুঁজে বের করতে হবে। এরপর, ওই স্থান থেকে ৪০ ডিগ্রি উপরে, অর্থাৎ প্রায় মাথার ওপরের দিকে তাকাতে হবে।

শহরের আলো থেকে দূরে, অন্ধকার কোনো স্থানে গিয়ে আকাশের দিকে তাকালে ভালো দেখা যাবে। অন্ধকারে চোখ সইয়ে নিতে অন্তত ২০-৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে। এই সময়ে মোবাইলের আলো বা অন্য কোনো উজ্জ্বল আলো এড়িয়ে চলাই ভালো। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে প্রয়োজনে লাল আলোর টর্চ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কেন এই উল্কাবৃষ্টি?
এই উল্কাগুলো আসলে হ্যালির ধূমকেতুর খসে পড়া অংশ। পৃথিবী যখন তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে হ্যালির ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধূলিকণার মেঘের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই কণাগুলো সেকেন্ডে প্রায় ৬৬ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে। এটিই আমরা ‘তারা খসা’ বা উল্কাবৃষ্টি হিসেবে দেখি।

আমেরিকান মিটিওর সোসাইটির রবার্ট লুনসফোর্ড জানিয়েছেন, কেউ যদি ২১-২৩ অক্টোবরের মূল রাতটি মিস করেন, তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রামীণ অন্ধকার আকাশ থেকে ঘণ্টায় ১০টিরও বেশি উল্কা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

এছাড়াও, বর্তমানে নর্দার্ন ও সাউদার্ন টরিড উল্কাবৃষ্টিও সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত আকাশে দর্শনীয় ‘ফায়ারবল’ বা অগ্নিগোলক দেখারও সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র স্পেস

এসি/আপ্র/২১/১০/২০২৫