ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস

  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিদিনের শহুরে জীবনে গাড়ি, বাস যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। অফিস যাওয়া, বাজার করা কিংবা অল্প দূরত্বে যাত্রা সবখানেই গাড়ি ছাড়া যেন চলাই মুশকিল। অথচ এই গাড়ি আবার আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির কারণও বটে। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ আর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে মোটরযান। তাই প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস।

এই দিনটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক পালনের বিষয় নয়; বরং এর মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে আমাদের গাড়িনির্ভর জীবন থেকে বের হয়ে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে। মানুষ, পরিবেশ এবং শহর এই তিনের স্বার্থেই গাড়ির ব্যবহার সীমিত করা জরুরি। তাহলে গাড়ির বিকল্প কী হতে পারে? চলুন জেনে নেই।

১. হাঁটা: ছোট দূরত্বে গাড়ির বদলে হাঁটলে শুধু জ্বালানি খরচই বাঁচে না, শরীরও থাকে ফুরফুরে। হাঁটা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, শরীরের বাড়তি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ দূর করে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে এটি শরীরকে রাখে সক্রিয়, মনকে রাখে প্রফুল্ল। বিশেষ করে ব্যস্ত নগরজীবনে হাঁটার মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা সম্ভব।

২. গণপরিবহন: ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে বাস, ট্রেন বা মেট্রো ব্যবহার করলে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হয়। উন্নত দেশগুলোতে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে যাতায়াতকে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করে তোলা হচ্ছে।

৩. সাইকেল: সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যকর, পরিবেশবান্ধব এবং দ্রুত চলাচলের অন্যতম উপায়। অনেক শহরে এখন আলাদা সাইকেল লেন তৈরি করা হচ্ছে যাতে মানুষ নিরাপদে সাইকেল ব্যবহার করতে পারে। সাইকেল চালানো কেবল পরিবেশ রক্ষাতেই ভূমিকা রাখে না, বরং এটি শিশু ও তরুণদের জন্য খেলাধুলার মতোই আনন্দদায়ক। প্রতিদিন নিয়মিত সাইকেল চালানো শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায়, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. স্কেটিং শু অথবা ইলেকট্রিক স্কুটার: শহরে ছোট দূরত্বে এগুলোও দ্রুত এবং আনন্দদায়ক চলাচলের উপায়। একে শুধু বিনোদন হিসেবে নেবেন না এগুলো হাঁটা বা সাইকেলের মতোই শরীরকে সক্রিয় রাখে। পাশাপাশি ফিটনেস উন্নত করে এবং রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমায়।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, ম্যাস জেনারেল ব্রাইঘ্যাম, এনডি টিভি হেলথ, আইইআরই

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজ বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ০৪:১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিদিনের শহুরে জীবনে গাড়ি, বাস যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। অফিস যাওয়া, বাজার করা কিংবা অল্প দূরত্বে যাত্রা সবখানেই গাড়ি ছাড়া যেন চলাই মুশকিল। অথচ এই গাড়ি আবার আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির কারণও বটে। যানজট, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ আর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে মোটরযান। তাই প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস।

এই দিনটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক পালনের বিষয় নয়; বরং এর মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে আমাদের গাড়িনির্ভর জীবন থেকে বের হয়ে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে। মানুষ, পরিবেশ এবং শহর এই তিনের স্বার্থেই গাড়ির ব্যবহার সীমিত করা জরুরি। তাহলে গাড়ির বিকল্প কী হতে পারে? চলুন জেনে নেই।

১. হাঁটা: ছোট দূরত্বে গাড়ির বদলে হাঁটলে শুধু জ্বালানি খরচই বাঁচে না, শরীরও থাকে ফুরফুরে। হাঁটা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, শরীরের বাড়তি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ দূর করে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে এটি শরীরকে রাখে সক্রিয়, মনকে রাখে প্রফুল্ল। বিশেষ করে ব্যস্ত নগরজীবনে হাঁটার মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা সম্ভব।

২. গণপরিবহন: ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে বাস, ট্রেন বা মেট্রো ব্যবহার করলে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হয়। উন্নত দেশগুলোতে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে যাতায়াতকে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করে তোলা হচ্ছে।

৩. সাইকেল: সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যকর, পরিবেশবান্ধব এবং দ্রুত চলাচলের অন্যতম উপায়। অনেক শহরে এখন আলাদা সাইকেল লেন তৈরি করা হচ্ছে যাতে মানুষ নিরাপদে সাইকেল ব্যবহার করতে পারে। সাইকেল চালানো কেবল পরিবেশ রক্ষাতেই ভূমিকা রাখে না, বরং এটি শিশু ও তরুণদের জন্য খেলাধুলার মতোই আনন্দদায়ক। প্রতিদিন নিয়মিত সাইকেল চালানো শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায়, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৪. স্কেটিং শু অথবা ইলেকট্রিক স্কুটার: শহরে ছোট দূরত্বে এগুলোও দ্রুত এবং আনন্দদায়ক চলাচলের উপায়। একে শুধু বিনোদন হিসেবে নেবেন না এগুলো হাঁটা বা সাইকেলের মতোই শরীরকে সক্রিয় রাখে। পাশাপাশি ফিটনেস উন্নত করে এবং রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমায়।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, ম্যাস জেনারেল ব্রাইঘ্যাম, এনডি টিভি হেলথ, আইইআরই

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫